ঠাকুরগাঁওয়ে বিদ্যমান সার নীতিমালা বহাল রাখার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএ) ঠাকুরগাঁও জেলা ইউনিট।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাব হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি মোদাচ্ছের হোসেন। বক্তারা রাসায়নিক সারের সংকট নিরসনে সিন্ডিকেট ভাংতে ইউনিয়ন পর্যায়ে নতুন করে ৩ জন ডিলার নিয়োগের প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। তারা একই পরিবারের নামে বা ভিন্ন নামে যেসব ডিলারশিপ চালু রয়েছে, তা বহাল রাখারও দাবি জানান। তাদের মতে, ব্যাংক ঋণের দায়কে অজুহাত হিসেবে দেখিয়ে একই পরিবারে একাধিক লাইসেন্স বহাল রাখা যৌক্তিক।
বক্তারা আরও অভিযোগ করেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বার্ষিক চাহিদা থেকে ৪০ থেকে ৪৫ ভাগ নন-ইউরিয়া সারের বরাদ্দ কম দেওয়ায় সংকট তৈরি হয়। এলাকাভিত্তিক চাহিদা ও মৌসুম অনুযায়ী অতিরিক্ত বরাদ্দ দিলে সংকট নিরসন সম্ভব বলে তারা মত দেন।
এ সময় উপস্থিত সংবাদকর্মীরা একই পরিবারের নামে বেনামে একাধিক ডিলারশিপ বহালের বিরোধিতা করে বলেন, স্থানীয় বাসিন্দা ও সার ব্যবসায়ীদের মধ্য থেকে বিসিআইসির ডিলার নিয়োগ দেওয়া হলে সিন্ডিকেট ভেঙে পড়বে। তাতে প্রান্তিক কৃষকরা তাদের এলাকায় নির্ধারিত দামে সার কিনতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা মো. পয়গাম আলী, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান রাজুসহ অন্যরা।
ঠাকুরগাঁও জেলায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতায় বিসিআইসির ৬২ জন এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় বিএডিসির ১৪৯ জন ডিলার রয়েছেন। স্থানীয় অভিযোগ অনুযায়ী, অনেক ডিলার সিন্ডিকেট করায় প্রতি বছর এ জেলায় সারের সংকট তৈরি হয়।