সিলেটের উন্নয়নে বৈষম্য ও চরম অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সিলেটের কৃতি সন্তান, জাতীয় রাজনীতিতে সিলেটের সোচ্চার কণ্ঠ, বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সিলেটের ‘চারখাই-শেওলা-সুতারকান্দি’ মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প নামে ৪ হাজার ২৫৭ কোটি টাকার প্রাক্কলিত ব্যয়ে চারলেনে উন্নীত প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও সম্প্রতি সিলেট বিদ্বেষী কিছু স্বার্থান্বেষী কর্মকর্তার যোগসাজসে প্রকল্পটি বাতিল করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।
অযৌক্তিক ধানাইপানাই অজুহাতে প্রকল্প বন্ধ করার অপচেষ্টার নিন্দা জানিয়ে মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, সিলেট বিয়ানীবাজার শেওলা-সুতারকান্দি স্থলবন্দর রোডের অবস্থা এতই নাজুক যে, প্রতিনিয়ত নানা দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। এ আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, বড়লেখা, জুড়ি, কুলাউড়া উপজেলার লাখ লাখ মানুষ যাতায়াত করেন। তা ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ ‘সুতাকান্দি স্থলবন্দর’ দিয়ে বাংলাদেশের এক্সপোর্ট-ইমপোর্টের কাজেও এ মহাসড়কটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, কোন অজুহাতে কান না দিয়ে অবিলম্বে সিলেট শেওলা-সুতারকান্দি স্থলবন্দর পর্যন্ত চার লেনের আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
একইভাবে প্রশাসনের দুর্বলতা, অব্যবস্থাপনা এবং অসাধু আমলাদের যোগসাজসে বাংলাদেশের ভ্রমণ পিপাসুদের পর্যটন স্পট ভোলাগঞ্জের সাদা পাথরও লুটপাট হয়েছে। জাফলংসহ সিলেটের ৬টি পাথর কোয়ারীতেও পাথর লুটপাট চলছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, জরুরি ভিত্তিতে এ সকল অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং অনতিবিলম্বে ঢাকা-সিলেটের ছয় লেনের মহাসড়কের কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের অনেক প্রকল্প একনেক বৈঠকে পাশ হলেও অদৃশ্য কারণে প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেট বৈষম্যের শিকার, বারবার সার্বিক উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সিলেট অঞ্চল জাতীয় অর্থনীতিতে মোটা দাগে রেমিটেন্স পাঠিয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছে। তা ছাড়া বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জের গ্যাস জাতীয় গ্রিডে প্রতিনিয়ত সাপ্লাই দিয়ে চলেছে, অথচ টাকা দিয়েও সিলেটে ঘরে-ঘরে গ্যাস সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে না, এটা দুঃখজনক।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন নিজ এলাকা বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ উপজেলা দ্বয়ের সুরমা-কুশিয়ারা নদী ভাঙন রোধে প্রকল্প গ্রহণ, ঘরে-ঘরে গ্যাস সংযোগ প্রদান এবং প্রতিটি আন্তঃসংযোগ সড়কের সংস্কার কাজ দ্রুত শেষ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের উদাত্ত আহ্বান জানান।