বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সিলেট ব্যুরো

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫, ১০:০৪ পিএম

মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় এসিল্যান্ডকে শোকজ

সিলেট ব্যুরো

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫, ১০:০৪ পিএম

এসিল্যান্ডসহ ৫ জনকে শোকজ,  ইনসেটে এসিল্যান্ড ফয়সাল মাহমুদ ফুয়াদ।    ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

এসিল্যান্ডসহ ৫ জনকে শোকজ, ইনসেটে এসিল্যান্ড ফয়সাল মাহমুদ ফুয়াদ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঘোষগাঁও গ্রামে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ঘটনা নিয়ে জেলা প্রশাসনের এসিল্যান্ড ফয়সাল মাহমুদ ফুয়াদ শোকজের মুখোমুখি হয়েছেন। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) গোলাপগঞ্জ আদালতের সিনিয়র সহকারী জজ এসিল্যান্ডসহ ৫ জনকে শোকজ করেছে। 

গত ২৭ আগস্ট (বুধবার) ঘোষগাঁওয়ে একই পরিবারের চারজনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত ১৫ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানা প্রদান করেন গোলাপগঞ্জের এসিল্যান্ড ফয়সাল মাহমুদ ফুয়াদ। এর পরদিন, ২৮ আগস্ট (বৃহস্পতিবার), দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা সিলেট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবরে ওই রায় বাতিল ও জামিন চেয়ে আপিল মামলা (মামলা নম্বর: ০৪/২০২৫) দায়ের করেন।

এই ঘটনার পেছনে গোলাপগঞ্জ ভূমি অফিসের তহশীলদার নজরুল ইসলামের যোগসাজশ থাকার অভিযোগ তুলেছে দণ্ডপ্রাপ্ত পরিবারটি।

আপিল মামলার এজাহারে জানা যায়, নালিশা ভূমির প্রকৃত মালিক রিয়াদ আহমদ চৌধুরী ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে ২০২৩ সালের ৮ জুন চেরাগ আলী ও তার দুই ভাইকে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ভূমি পরিচালনা ও মামলা মোকদ্দমার বিশেষ আম্মোক্তার নামা প্রদান করা হয়। ২০১৩ সালে রিয়াদ আহমদ চৌধুরী পরিবার উক্ত ভূমি নিয়ে সিলেটের সিনিয়র সহকারী জজ (গোলাপগঞ্জ) আদালতে মামলা (মামলা নম্বর: ১৪৭/২০২১) করেন। ২০২২ সালের ২১ এপ্রিল ওই আদালত তাদের পক্ষে রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা দাবি করছেন, সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বৈধ রায় অনুযায়ী তারা উক্ত ভূমিতে দখলদারিত্ব ও শান্তিতে ভোগ করছেন। কিন্তু ২৭ আগস্ট তহশীলদার নজরুল ইসলাম প্রতিপক্ষদের নিয়ে নালিশা ভূমিতে এসে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ভুক্তভোগী পরিবারকে জড়িয়ে একটি ঘটনার সূচনা করেন।

তারা অভিযোগ করেন, এসিল্যান্ড ফয়সাল মাহমুদ ফুয়াদ ও তহশীলদার নজরুল ইসলাম সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের রায় উপেক্ষা করে বেআইনী ভাবে আসামিদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ করতে কাজ করেন।

ঘটনার প্রেক্ষিতে ২ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) রিয়াদ আহমদ চৌধুরী ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে সিনিয়র সহকারী জজ গোলাপগঞ্জ আদালতে এসিল্যান্ড ফয়সাল মাহমুদ ফুয়াদ, জেলা প্রশাসক সিলেটসহ চারজনকে বিবাদী করে নিষেধাজ্ঞার মামলা (মামলা নম্বর: ১০৩/২০২৫) দায়ের করা হয়। আদালত মামলাকারীদের ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন এবং শোকজ করেন।

এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে এসিল্যান্ড ফয়সাল মাহমুদ ফুয়াদ বলেন, ঘোষগাঁওয়ে একই পরিবারের চারজনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালানা করে ১৫ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানা প্রদান করা হয়েছে। তবে ‘শোকজ’র বিষয়ে আমি কিছু জানি না।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!