টাঙ্গাইলের বাসাইলে ৭ বছরের এক শিশু শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে শাহাদত হোসেন নামের এক শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হয় একটি পক্ষ।
বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার কাউলজানী ইউনিয়নের সেহরাইল দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তাকে আটক করা হয়।
অভিযুক্ত শাহাদত হোসেন (৪৫) ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এবং বিদ্যালয়টির পার্শ্ববর্তী বাড়ির হাসেন সরকারের ছেলে।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার (১১ আগস্ট) বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালীন সময়ে শিক্ষক শাহাদত হোসেন ওই শিশু শিক্ষার্থীর শরীরে অশ্লীলভাবে হাত দেন। ছুটির পর বাড়িতে গিয়ে শিশুটি বিষয়টি অভিভাবকদের জানায়। পরে শিশুর পরিবার প্রধান শিক্ষক ও স্থানীয় মাতাব্বরদের কাছে বিচার দাবি করে।
পরদিন মঙ্গলবার প্রধান শিক্ষক শিশুর পরিবারকে ডেকে এনে বিষয়টি মীমাংসা করেন। তবে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে বুধবার সকালে শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও স্থানীয়রা বিদ্যালয়ে জড়ো হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের বদলি ও শাস্তি দাবি করেন।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. আকলিমা বেগম এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আঞ্জুমান আরা বেগম বীথি বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগীর পরিবার ও জনতার সঙ্গে কথা বলেন। পরে শিশুটির বাবার লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে শাহাদত হোসেনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষকের ছেলে মুঠোফোনে বলেন, ‘আমরা গ্রামে অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত। গ্রামবাসীর নাম করে কয়েকজন আমাদের হেয়প্রতিপন্ন করতেই এটি করেছে। শিশুর বাবা আমাদের বাড়িতে এসে নিজের ভুল স্বীকার করেছেন।’
বাসাইল থানার ওসি জালাল উদ্দিন বলেন, ‘অভিযুক্ত শিক্ষককে থানায় আনা হয়েছে। শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. আকলিমা বেগম বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরে বিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। শিশুটির বাবা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পরে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’