বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২৫, ০২:৩৯ পিএম

ভূঞাপুরে স্বপ্ন বুনছে মৃৎশিল্পীরা, সহায়তায় প্রশাসন

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২৫, ০২:৩৯ পিএম

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু আবদুল্লাহ খান গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কয়েড়া গ্রামের পালপাড়া পরিদর্শন করেন।   ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু আবদুল্লাহ খান গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কয়েড়া গ্রামের পালপাড়া পরিদর্শন করেন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে প্রশাসনের সহায়তায় ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণের মাধ্যমে নতুন স্বপ্ন দেখছেন গ্রামীণ মৃৎশিল্পী ও অসহায় মানুষরা। সমাজসেবা অধিদপ্তরের এই উদ্যোগ যেন অনেকটা তাদের জীবনে আলো ছড়িয়েছে।

উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উদ্যোগে পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রমের আওতায় ২৬ জনকে ৬ লাখ টাকা, পল্লী মাতৃকেন্দ্র কার্যক্রমের আওতায় ২২ জন নারীর মাঝে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং দগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পুনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় ২৮ হাজার টাকা ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ করা হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু আবদুল্লাহ খান গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কয়েড়া গ্রামের পালপাড়া পরিদর্শন করেন। এ সময় উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নাজমুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। সেখানকার মাটির ভাঁটে ব্যস্ত থাকা মৃৎশিল্পীরা ইউএনওকে দেখে খানিকটা চমকেই ওঠেন। এ সময় আরও ৮ জন ঋণগ্রহীতার মাঝে ২ লাখ টাকা ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করা হয়।

সমাজসেবা অধিদপ্তরের উদ্যোগ মৃৎশিল্পীদের সহযোগিতা। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

সমাজসেবা কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বলেন, আমাদের বাঙালীর সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের একটি অংশ এই মৃৎশিল্প।  যারা এই কর্মের সাথে জড়িয়ে রয়েছে, যারা এই শিল্পকর্মকে আকড়ে ধরে আছে, তাদের জীবন খুবই মানবেতর। সমাজে অনেকটা অবহেলিত হয়েও তারা জীবন ধারন করে। তবে তাদের এই শিল্পকর্মকে এগিয়ে নিতেই আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। প্রশাসন সব সময়ই তাদের পাশে থাকবে।

ঋণ পাওয়া এক মৃৎশিল্পী আবেগ জড়িত কণ্ঠে বলেন, বাবা-দাদার পেশা ধরে রেখেছি, কিন্তু টাকার অভাবে কাজ বড় করতে পারছিলাম না। আজ ঋণ পেয়ে মনে হচ্ছে আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারবো।

এই ক্ষুদ্র ঋণ শুধু টাকা নয়-এ যেন গ্রামীণ মানুষের বেঁচে থাকার আশা, মাটির ঘ্রাণে ভরা নতুন এক সম্ভাবনার দাওয়াত।

মৃৎশিল্পীদের তৈরি নিত্যপ্রয়োজনীয় মাটির হাঁড়ি, কলসি, ভাঁড় ও শোপিস ঘুরে ঘুরে দেখেন ইউএনও আবদুল্লাহ। তাদের পরিশ্রম ও শিল্পকর্মে মুগ্ধ হয়ে তিনি বলেন, মৃৎশিল্প শুধু একটি পেশা নয়, আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ। এই শিল্পকে আরও সমৃদ্ধ করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!