বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৫, ১১:৪৩ এএম

বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারি উদ্যোগ

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৫, ১১:৪৩ এএম

বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারি উদ্যোগ

ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি, বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ ছয় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তনের পর ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিনিয়োগ পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থা মোকাবিলা করতে এবং বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ সরকার একটি সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে।

আগামী ৭ থেকে ১০ এপ্রিল ঢাকা ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনের লক্ষ্য হচ্ছে বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা এবং দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরা। 

রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, শ্রমিক অসন্তোষ এবং অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য এই সম্মেলনটি আয়োজিত হবে। এটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংস্কার এবং প্রতিযোগিতামূলক বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরতে সহায়তা করবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিদেশি বিনিয়োগ ৭১% কমে গিয়ে ১০৪.৩৩ মিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। যা গত ছয় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। 

২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট বিদেশি বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে ১৭.৬৮ বিলিয়ন ডলার। যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, এবং দক্ষিণ কোরিয়া শীর্ষ তিন বিনিয়োগকারী দেশ হিসেবে রয়েছে।

জাপানি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে নীতিগত অসঙ্গতি, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, করের অসঙ্গতি, এবং আকস্মিক নীতি পরিবর্তনকে পুনঃবিনিয়োগে বাধা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তাদের মতে, বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতি তৈরি করা কঠিন, যা মূলধন বিদেশে চলে যাওয়ার কারণ।

তবে বাংলাদেশ অবকাঠামো উন্নয়ন এবং অন্যান্য খাতে অগ্রগতি অর্জন করেছে। লজিস্টিক অদক্ষতা, ধীর প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং মূল্যস্ফীতি ব্যবসায় পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এছাড়া, টাকার অবমূল্যায়ন এবং বাড়তি খরচ বাংলাদেশকে অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় কম প্রতিযোগিতামূলক করে তুলছে।

বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট নতুন বিনিয়োগের সুযোগ, অর্থনৈতিক সংস্কার এবং নীতিগত প্রণোদনা তুলে ধরার মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগ ফেরানোর সুযোগ সৃষ্টি করবে। সম্মেলনে অন্তত ৫০টি দেশের ৫৫০+ বিদেশি বিনিয়োগকারী এবং আড়াই হাজার দেশি বিনিয়োগকারী অংশ নেবেন।

আগামী ৯ এপ্রিল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্মেলন উদ্বোধন করবেন। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, সরকার বিনিয়োগবান্ধব নীতি ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি স্বীকার করেন যে, দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ধরে রাখতে ধারাবাহিক নীতি এবং অবকাঠামোগত উন্নতি প্রয়োজন। ইনভেস্টমেন্ট সামিট বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

 

 

আরবি/শিতি

Link copied!