পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শেষে দেশের তৈরি পোশাক শিল্প খাতে আবারও কর্মচাঞ্চল্য ফিরছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৯৯৮টি গার্মেন্টস কারখানা চালু হয়েছে।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) তথ্য অনুযায়ী, রোববার (১৫ জুন) পর্যন্ত সংস্থার আওতাধীন ২ হাজার ৮৮টি সক্রিয় গার্মেন্টস কারখানার মধ্যে ১ হাজার ৯৯৮টি চালু রয়েছে। অর্থাৎ ছুটি শেষে প্রায় ৯২ শতাংশ কারখানা স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে এসেছে।
বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলভিত্তিক এ পরিসংখ্যান বলছে, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৯৬ শতাংশ কারখানা চালু রয়েছে। এখানকার ৮৪৭টি কারখানার মধ্যে ৮১০টি খোলা রয়েছে। সাভার-আশুলিয়া ও জিরানী এলাকায় চালু আছে ৩৬০টি কারখানা, যা মোট ৩৯৫টির মধ্যে ৯১ শতাংশ।
এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জে খোলা আছে ২০০টি কারখানা, যা ৯৮ শতাংশেরও বেশি। ঢাকার ডিএমপি এলাকায় চালু আছে ২৯০টি কারখানা, যা ৯৫ শতাংশ।
তবে ব্যতিক্রম চট্টগ্রাম অঞ্চল। সেখানে বিজিএমইএ-এর আওতাধীন সবগুলো ৩৩৮টি কারখানাই আজ খোলা ছিল।
সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, সাভার-আশুলিয়া ও জিরানী এলাকায় বন্ধের হার প্রায় ৯ শতাংশ, ঢাকার ডিএমপি এলাকায় প্রায় ৫ শতাংশ এবং গাজীপুর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে প্রায় ৪ শতাংশ কারখানা বন্ধ রয়েছে। সবচেয়ে কম বন্ধের হার নারায়ণগঞ্জে, যেখানে মাত্র ২ শতাংশ কারখানা বন্ধ রয়েছে।
তবে যেসব কারখানা এখনো বন্ধ সেগুলোতে ঈদের ছুটি চলমান রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
বিজিএমইএ বলছে, ঈদের পর শ্রমিকরা দলে দলে কাজে ফিরছেন। অধিকাংশ কারখানায় উৎপাদন পুরোদমে শুরু হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকরাও নির্ধারিত সময় অনুযায়ী কার্যক্রম চালুর বিষয়ে আগেই প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। ফলে খুব অল্প সময়েই অধিকাংশ ইউনিট কার্যক্রমে ফিরে এসেছে।
প্রসঙ্গত, এবার ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে গত ৩ জুন ৯ শতাংশ এবং ৪ জুন ৪১ শতাংশ গার্মেন্টসের শ্রমিকদের ছুটি দেওয়া হয়। সবশেষ ৫ জুন বাকি ৫০ শতাংশ শ্রমিক ছুটিতে বাড়ি যান।
আপনার মতামত লিখুন :