সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ২১, ২০২৫, ১১:৪৯ এএম

৯ লাখ টন চাল কিনবে বাংলাদেশ, বিক্রির আশায় ভারতীয় ব্যবসায়ীরা

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ২১, ২০২৫, ১১:৪৯ এএম

৯ লাখ টন চাল আমদানি করবে বাংলাদেশ।        ছবি- সংগৃহীত

৯ লাখ টন চাল আমদানি করবে বাংলাদেশ। ছবি- সংগৃহীত

চাল আমদানির জন্য বড় ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে মোট ৯ লাখ টন চাল আমদানির পরিকল্পনা করেছে দেশটি। আর এই খবরে আশায় বুক বাঁধছেন ভারতীয় চাল রপ্তানিকারকরা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফার্স্টপোস্ট জানিয়েছে, বাংলাদেশের চাল আমদানির এই পরিকল্পনায় দেশটির চাল রপ্তানি শিল্পে চাহিদা ও দাম বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। রপ্তানিকারক ও মিল মালিকরা মনে করছেন, বাংলাদেশের বাজারে আবারও সক্রিয় হতে পারবেন তারা।

গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের জেরে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ভারত-বাংলাদেশ রাজনৈতিক সম্পর্কে টানাপড়েন তৈরি হয়, যার প্রভাব পড়ে বাণিজ্যিক খাতেও। বিশেষ করে বাংলাদেশে ভারতীয় পণ্য রপ্তানিতে ভাটা পড়ে। এই পরিস্থিতিতে চাল আমদানির নতুন সিদ্ধান্তকে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন।

চাল রপ্তানিকারকদের মতে, বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ৪ লাখ টন চাল আমদানি হবে। সরকারি আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে অবশিষ্ট ৫ লাখ টন বেসরকারি খাতের মাধ্যমে আমদানি হবে।

ভারতীয় চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই চালের বড় অংশ ভারতের মিলগুলো থেকেই রপ্তানি হতে পারে।

রাইসভিলা ফুডসের সিইও সুরজ আগরওয়াল বলেন, ভারি বৃষ্টির কারণে আমন ফসল ক্ষতির আশঙ্কায় বাংলাদেশ এই আগাম সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

জয় বাবা বাকেশ্বর রাইস মিলের পরিচালক রাহুল আগরওয়াল জানান, পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের কয়েকটি রাজ্যের চাল কলগুলো এই রপ্তানির সুযোগ নিতে প্রস্তুত।

তিনি বলেন, বেসরকারি আমদানির ৩০-৪০ শতাংশ চাল পশ্চিমবঙ্গ থেকেই যেতে পারে। সরকারি টেন্ডারেও পশ্চিমবঙ্গ অংশ নেবে।

জনপ্রিয় চাল জাতগুলোর দাম বাড়ার সম্ভাবনা নিয়েও সতর্ক করেছেন ব্যবসায়ীরা।

বর্তমানে প্রতি কেজি ২৯ টাকায় বিক্রি হওয়া ‘স্বর্ণা মসুরি’ সেদ্ধ চালের দাম বেড়ে হতে পারে ৩১-৩২ টাকা। ‘মিনিকেট’ চাল, যা এখন ৪১-৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, তার দাম বেড়ে হতে পারে ৪৫ টাকা।

বাংলাদেশ ১৪ লাখ টনের সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ইতিমধ্যে ৩.৭৬ লাখ টন বোরো ধান এবং ৯.৫ লাখ টন চাল সংগ্রহ করেছে। সংগ্রহ অভিযান আগস্টের মাঝামাঝি শেষ হওয়ার কথা।

এ ছাড়া সরকার ৫৫ লাখ পরিবারকে অন্তর্ভুক্ত করে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করেছে, যেখানে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল ১৫ টাকা কেজি দরে দেওয়া হবে।

বাংলাদেশের এই আগাম আমদানির সিদ্ধান্তকে ‘সম্ভাব্য বন্যার আগাম সতর্কতা’ হিসেবে দেখছেন রপ্তানিকারকরা।

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!