ঢাকা বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫

সাবেক ৩ গভর্নর ও ৬ ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৫, ০৯:১৩ পিএম
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, ফজলে কবির এবং আব্দুর রউফ তালুকদার। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক তিন গভর্নর এবং ছয় ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাবের বিস্তারিত তথ্য তলব করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

বুধবার (১৩ আগস্ট) সব ব্যাংকে পাঠানো চিঠিতে তাদের অ্যাকাউন্ট খোলার ফরম, লেনদেনের বিবরণ, কেওয়াইসি (গ্রাহক পরিচিতি) তথ্যসহ প্রয়োজনীয় সব নথি তিন কর্মদিবসের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুরোধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বিএফআইইউর এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। চিঠিতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছে, প্রতিটি ব্যক্তির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার ফরম, লেনদেনের বিস্তারিত বিবরণ, কেওয়াইসি ফরমসহ সব তথ্য আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে জমা দিতে হবে। যদি কোনো হিসাব বন্ধ থাকে সেটিও রিপোর্ট করতে হবে।

তালিকায় থাকা সাবেক গভর্নররা হলেন ড. আতিউর রহমান, ফজলে কবির ও আব্দুর রউফ তালুকদার। এদের মধ্যে ড. আতিউর রহমান আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর দেশত্যাগ করেন, আর আব্দুর রউফ তালুকদার পলাতক অবস্থায় গত বছরের ৭ আগস্ট ই-মেইলে পদত্যাগ করেন।

সাবেক ছয় ডেপুটি গভর্নরের মধ্যে রয়েছেন: এস কে সুর চৌধুরী, মো. মাসুদ বিশ্বাস, আবু হেনা মো. রাজী হাসান, এসএম মনিরুজ্জামান, কাজী ছাইদুর রহমান ও আবু ফরাহ মো. নাছের। এর মধ্যে এস কে সুর চৌধুরী বর্তমানে দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি, মো. মাসুদ বিশ্বাস বিএফআইইউর প্রধান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন, আর আবু হেনা মো. রাজী হাসান দীর্ঘদিন বিএফআইইউর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সরকার পরিবর্তনের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আর্থিক কার্যক্রম নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার, আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখার অংশ হিসেবে ব্যাংক হিসাব সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।