আয়কর রিটার্ন হলো করদাতার বার্ষিক আয়, ব্যয় এবং সম্পদের তথ্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নির্ধারিত ফরমে উপস্থাপনের একটি পদ্ধতি।
আয়কর আইন অনুযায়ী, স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতার রিটার্নে দেশের ও দেশের বাইরে থাকা সমস্ত আয়, সম্পদ ও দায়, পাশাপাশি জীবনযাপন সংশ্লিষ্ট ব্যয়ের বিবরণী থাকতে হবে।
রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা
স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতা: আয়বর্ষ শেষের পর নভেম্বর মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
অন্যান্য করদাতা: আয়বর্ষ শেষের পর নবম মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে।
নতুন স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতা: আয়বর্ষ শেষে জুন মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত।
বিদেশে অবস্থানরত স্বাভাবিক ব্যক্তি: বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের দিন থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত।
কর কমিশনারের অনুমোদনে অনিবার্য কারণে রিটার্ন দাখিলের নির্দিষ্ট তারিখ থেকে সর্বোচ্চ ৯০ দিন পর্যন্ত সময় বাড়ানো সম্ভব।
রিটার্ন দাখিলের পদ্ধতি
স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতা নির্দিষ্ট তারিখের পর থেকে সংশ্লিষ্ট করবর্ষের ৩০ জুন পর্যন্ত স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে রিটার্ন দাখিল করতে পারেন।
নির্দিষ্ট তারিখ পার হয়ে গেলে স্বনির্ধারণী পদ্ধতি আর প্রযোজ্য নয়; পরবর্তী অর্থবছর থেকে সাধারণ পদ্ধতিতে দাখিল করতে হবে।
রিটার্ন টিআইএন সনদে উল্লেখিত অধিক্ষেত্র বা সার্কেলে দাখিল করতে হবে। বিদেশে অবস্থানরত করদাতা বাংলাদেশের দূতাবাসের মাধ্যমে বা অনলাইনে (https://etaxnbr.gov.bd) দাখিল করতে পারবেন।
রিটার্ন দাখিল না করলে সম্ভাব্য জরিমানা ও সমস্যাগুলো
-ধারা ২৬৬ অনুযায়ী জরিমানা
-ধারা ১৭৪ অনুযায়ী কর অব্যাহতি সীমা সংকুচিত হওয়া
-মাসিক ২% হারে অতিরিক্ত কর
-ইউটিলিটি সার্ভিসে সমস্যা
-বেতন-ভাতাদি প্রাপ্তিতে জটিলতা