কয়েক সপ্তাহের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ফাঁস হলো ‘মি. এল’-এর পরিচয়। সবাই যখন ধারণা করছিলেন, তিনি কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, কর্মী কিংবা তারকা, ঠিক তখনই প্রকাশ পেল এক চমকপ্রদ তথ্য—মি. এল আসলে একজন মানুষ নন, তিনি ‘লুই’ নামের এক মশা!
মানুষ বনাম মশার বহুদিনের সংঘাতময় ইতিহাসের মাঝেই লুই আত্মপ্রকাশ করেছেন এক নতুন রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে। তার দলটির নাম ‘মশা-লুই’, আর দলীয় স্লোগান ‘মরটিনমুক্ত দেশ চাই!’
লুইয়ের রাজনৈতিক দর্শন
লুই বিশ্বাস করেন, মশা ধ্বংস নয় বরং সহাবস্থানই হচ্ছে প্রকৃত সমাধান। তিনি চান একটি এমন বাংলাদেশ, যেখানে মানুষ ও মশা শান্তিতে একসঙ্গে বসবাস করতে পারবে।
দলের ইশতেহার অনুযায়ী লুইয়ের চারটি মূল অঙ্গীকার:
১. মরটিনমুক্ত বাংলাদেশ গঠন
২. ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া ছড়ানো মশাদের পুরষ্কত করা
৩. মশাদের স্বাধীনভাবে ‘গান’ গাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করা
৪. মানুষ ও মশার শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করা
লুই জনগণকে আহ্বান জানিয়েছেন মশা প্রতীকে ভোট দিতে এবং তার দল ‘মশা-লুই’কে সমর্থন করতে। তার মতে, রাজনীতিতে তিনি এনেছেন নতুন চিন্তাধারা, সহাবস্থানের বার্তা এবং ভিন্নভাবে ভাবার চর্চা।
দলের সম্প্রসারণ ও জোট
লুইয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে এরই মধ্যে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়া এবং তেলাপোকা এই দলে যোগ দিয়েছে।
লুই দাবি করেছেন, এ জোট এখন আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী এবং গোটা দেশে বড় ধরনের প্রভাব বিস্তার করতে প্রস্তুত।
তার মতে, নতুন এই দলে অর্ন্তভুক্তির ফলে নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে তিনি এখন অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী।
সামনে কী?
তবে এখন সবার মুখে একটাই প্রশ্ন, তাকে থামাবে কে? মরটিন এগিয়ে আসবে, নাকি লুই দেশজুড়ে তার প্রভাব বিস্তার করবে?
দেশবাসী এখন গভীর কৌতূহল নিয়ে অপেক্ষা করছে, এই অদ্ভুত রাজনৈতিক উদ্যোগ বাস্তব রাজনীতিতে আদৌ কোনো পরিবর্তন আনতে পারে কি না।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন