বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) আয়োজিত ‘কমিউনিটি অংশগ্রহণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পল্লী উন্নয়ন: বিআরডিবি ও ইউনিয়ন পরিষদের যৌথ প্রয়াস’ শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে বিআরডিবি সদর কার্যালয়, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিআরডিবি সদর কার্যালয় এই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব জনাব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী।
বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) গ্রামীণ উন্নয়ন ও জনগণের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি নিয়ে কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে। প্রশিক্ষণে ৯ম-৪র্থ গ্রেডের কর্মকর্তারা অংশ নেন এবং পল্লী উন্নয়নে অংশীদারিত্বমূলক কাজ ও কার্যক্রম বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিআরডিবি’র মহাপরিচালক ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব সরদার মো. কেরামত আলী। অনুষ্ঠানে বিআরডিবি’র পরিচালক, যুগ্ম-পরিচালক, উপ-পরিচালক ও সহকারী পরিচালকগণও উপস্থিত ছিলেন।
প্রশিক্ষণে স্বাগত বক্তব্যে মহাপরিচালক সরদার মো. কেরামত আলী বলেন, মানব-সংগঠনভিত্তিক উন্নত পল্লী গঠনের লক্ষ্য নিয়ে বিআরডিবি’র বহুমুখী কর্মপ্রয়াস অব্যাহত রয়েছে। তার বক্তব্যে উঠে আসে, বিআরডিবি গ্রামীণ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নেতৃত্ব গঠন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধিতে নিবেদিত। এ পর্যন্ত ১২২টি প্রকল্প/কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জাপানের কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বার্ড, বিআরডিবি ও জাইকা কর্তৃক উদ্ভাবিত লিংক মডেলের মাধ্যমে অংশীদারিত্বমূলক পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প (পিআরডিপি) কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই মডেলের মাধ্যমে জন-অংশগ্রহণ, চাহিদাভিত্তিক পরিকল্পনা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়।
মহাপরিচালক উল্লেখ করেন, বিআরডিবি’র ৫৩ লক্ষ সুফলভোগীর মধ্যে প্রায় ৬৮% নারী। ২০১০ সালের BIDS প্রতিবেদনে GDP-তে বিআরডিবি’র একক অবদান ১.৯৩% হিসাব করা হয়েছে। ঋণ কার্যক্রম তদারকির জন্য ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট (সিআরএম) গঠন করা হয়েছে এবং ক্র্যাশপ্রোগ্রাম চলমান রয়েছে। ৬৪ জেলা ও ৪৯৪ উপজেলা কার্যালয়ের কার্যক্রম সরাসরি ভিডিও ও জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে মনিটর করা হচ্ছে।
প্রধান অতিথি সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, বিআরডিবি শুধু ঋণ প্রদানের প্রতিষ্ঠান নয়, নতুন উদ্ভাবনী আইডিয়ার মাধ্যমে প্রকল্প গ্রহণেও এগিয়ে আসছে। তিনি স্থানীয় সরকার বিভাগের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার আশ্বাস দেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, জামালপুর জেলায় দরিদ্র মহিলাদের উন্নয়ন প্রকল্প, ১৯টি জেলায় জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্রকল্প এবং উপকূলীয় অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
সচিব তার বক্তব্যে সকল দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সততা, নিষ্ঠা ও দায়িত্বশীলতা নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান এবং বিআরডিবি ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্পর্ক আরও সুসংহত করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন