যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধর করে হত্যার দায়ে স্বামী মো. ইমরান ফকিরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শামীমা পারভীন এই রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত ইমরান ফকিরের বাড়ি মধুখালী উপজেলার উলুহাট গ্রামে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং পরে তাকে পুলিশি হেফাজতে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৫ আগস্ট মধুখালী উপজেলার দেউল মথুরাপুর গ্রামের মোসা. দিলরুবা বেগম (২০) যৌতুকের বলি হন। তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন ১ লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য তাকে মারধর করে হত্যা করে।
ঘটনার পরদিন দিলরুবার বাবা মো. দেলোয়ার হোসেন মধুখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দিলরুবার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন জানান, সাক্ষীদের জবানবন্দি ও সকল আলামত পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করে আদালত নিশ্চিত হন যে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত।
এর ভিত্তিতেই আদালত এই কঠোর রায় দিয়েছেন। এই রায় সমাজে যৌতুকজনিত সহিংসতার বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বার্তা দেবে বলে তিনি মনে করেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন