আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাল নোট ছড়ানোর আশঙ্কায় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সতর্কতা জারি করেছে। তারা বলছে, কিছু মহল নির্বাচনকালীন অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি ও ভোটারদের বিভ্রান্ত করতে বাজারে জাল নোট ছড়ানোর চেষ্টা করতে পারে। এসব জাল নোট নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতেও ব্যবহার হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি ভারত সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে জাল নোট প্রবেশের কয়েকটি ঘটনার পর বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিশেষ করে দেশের সবচেয়ে ব্যস্ত স্থলবন্দর বেনাপোল ও শার্শা সীমান্তে নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে।
চলতি বছরের ২১ জুন বেনাপোলের আমড়াখালি বিজিবি চেকপোস্ট থেকে ৯ লাখ ২০ হাজার টাকার জাল নোটসহ যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার ভবারবেড় গ্রামের ইছাহাক আলীর ছেলে খালিদ হোসেনকে (১৭) আটক করা হয়। ইজিবাইকে যশোরের দিকে যাওয়ার সময় বিজিবির টহলদল খালিদ হোসেনকে আটক করে তার শরীর তল্লাশি করলে প্যান্টের ভিতর থেকে ৯২০ পিস (এক হাজার টাকার) জাল টাকা পাওয়া যায়।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, বেনাপোল ও শার্শা এলাকায় ভারতের সাথে ৭০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। সীমান্ত এলাকা বেনাপোলের সাদিপুর, ঘিবা, রঘুনাথপুর, ধান্যখোলা, গাতীপাড়া, বড়আঁচড়া, পুটখালী ও শার্শার কাশিপুর, শিকারপুর, শালকোনা, রুদ্রপুর, গোগা, অগ্রভুলোটসহ অন্যান্য সীমান্তে কড়াকড়ি নজরদারি আরোপ করা হয়েছে। বেনাপোল চেকপোস্টে ইমিগ্রেশনে যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়িতে তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে। বেনাপোল স্থলবন্দরে প্রবেশ ও প্রস্থানের সময় যাত্রীদের লাগেজ স্ক্যানিং, নোট শনাক্তকরণ যন্ত্র ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে সীমান্তে জাল নোট, অস্ত্র ও অন্যান্য চোরাচালান রোধে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছে। সম্ভাব্য চোরাচালানের জন্য যে সকল সীমান্ত ও রাস্তা আছে, সেগুলো সিল করা হয়েছে, যাতে কোনো প্রকার চোরাচালান ও চোরাচালানী পণ্য বহন করা না যায়।’



সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন