মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২৫, ০৩:২০ পিএম

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন

বেড়েছে দারিদ্র্য, ‘ভালো নেই’ কর্মসংস্থানের বাজার

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২৫, ০৩:২০ পিএম

দরিদ্র মানুষ ও বিশ্বব্যাংকের লোগো। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ গ্রাফিক্স

দরিদ্র মানুষ ও বিশ্বব্যাংকের লোগো। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ গ্রাফিক্স

দেশে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে। ভালো নেই কর্মসংস্থানের বাজারও। তবে চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রায় ৪ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে। এতে কমবে মুদ্রাস্ফীতির চাপ। ফলে সামান্য বাড়বে বেসরকারি ভোগ। এতে গত অর্থবছরের তুলনায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কিছুটা উন্নত হবে। বিশ্বব্যাংকের এশিয়ার ডেভেলপমেন্ট আপডেট শীর্ষক প্রতিবেদনে এমন পর্যবেক্ষণ দিয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশ্বব্যাংকের নিজস্ব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। এতে বক্তব্য দেন বিশ্বব্যাংকের ডিভিশনাল ডিরেক্টর জেন পেসমি। এশিয়ার ডেভেলপমেন্ট আপডেট প্রতিবেদন তুলে ধরেন বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের চিফ ইকোনমিস্ট ফ্রানজিসকা লেসলোট ওহসেজ। বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সংস্থার ইকোনমিস্ট নাজমুস সাকিব খান। পাশাপাশি বক্তব্য দেন সিনিয়র এক্সটারনাল অফিসার মেহেরিন এ মাহবুব।

আগারগাঁওয়ে বিশ্বব্যাংকের নিজস্ব কার্যালয়ে এশিয়ার ডেভেলপমেন্ট আপডেট শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির কর্মকর্তারা। ছবি- সংগৃহীত

প্রতিবেদন বলছে, ২০২৫ অর্থবছরে জাতীয় দারিদ্র্যের হার বেড়ে ২১ দশমিক ২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ২০২৪ অর্থবছরে ছিল ২০ দশমিক ৫ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে দারিদ্র্য বেড়েছে প্রায় ০.৭ শতাংশ পয়েন্ট।

প্রতিবেদন আরও বলছে, ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের হার ৬০.৯ শতাংশ থেকে কমে ৫৮.৯ শতাংশে নেমে এসেছে। এই পতনের প্রধান কারণ হলো নারীদের অংশগ্রহণ হ্রাস। কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর বাইরে বেড়েছে নারী সংখ্যা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অতিরিক্ত ৩০ লাখ কর্মক্ষম মানুষ শ্রমবাজারের বাইরে চলে গেছেন, যার মধ্যে প্রায় ২৪ লাখই নারী। এটি নারীদের কর্মসংস্থান সংকটে পড়ার এক উদ্বেগজনক চিত্র তুলে ধরে। এ সময়কালে মোট কর্মসংস্থান প্রায় ২০ লাখ কমে গেছে, ফলে মোট কর্মরত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৯১ লাখে (৬৯.১ মিলিয়ন)। ফলে কর্মসংস্থান-জনসংখ্যা অনুপাত ২.১ শতাংশ পয়েন্ট কমে ৫৬.৭ শতাংশে নেমে এসেছে।

তবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে বিনিয়োগের পরিমাণ কিছুটা বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে। যদিও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতা এই প্রবৃদ্ধির গতিকে সীমিত করতে পারে। আমদানি স্বাভাবিক হলে চলতি হিসাবের ভারসাম্য সামান্য ঘাটতিতে ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়াও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের উন্নতির সঙ্গে রাজস্ব আয়ের বৃদ্ধির ফলে জিডিপি অনুপাতে রাজস্ব ঘাটতি ৫ শতাংশের নিচে রাখা সম্ভব হবে।

প্রতিবেদনে মুদ্রাস্ফীতির বিষয়টিও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি মাসগুলোতে মুদ্রাস্ফীতি হ্রাসমান ছিল, তবে ২০২৫ সালের আগস্টে তা ৮ দশমিক ৩ শতাংশে পৌঁছেছে। খাদ্য মূল্যস্ফীতি ২০২৪ সালের নভেম্বরের ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে কমে ২০২৫ সালের আগস্টে ৭ দশমিক ৬ শতাংশে নেমেছে। বিনিময় হার স্থিতিশীল থাকা এবং খাদ্য সরবরাহ পুনরুদ্ধার মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হয়েছে। নিম্ন-আয়ের মানুষের মজুরি বৃদ্ধির হার এখনো মুদ্রাস্ফীতির চেয়ে বেশি হলেও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এই ব্যবধান কিছুটা সংকুচিত হয়েছে। তবে দারিদ্র্যের হার বাড়ছে। 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২৫ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি সামান্য হ্রাস পেয়ে ৪ দশমিক ০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ২০২৪ সালে ছিল ৪ দশমিক ২ শতাংশ। দুর্বল বিনিয়োগের কারণে বৃদ্ধি মাত্র ০ দশমিক ৮ শতাংশ হয়েছে। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও ব্যবসায় পরিচালনার উচ্চ ব্যয়ের কারণে বেসরকারি বিনিয়োগ কমে গেছে, আর সরকারি বিনিয়োগও হ্রাস পেয়েছে। এডিপি বাস্তবায়নেও ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে।

কর-রাজস্ব বৃদ্ধির গুরুত্বও প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের কর-জিডিপি হার দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। এটি টেকসই উন্নয়নের পথে বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখা দিচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
 

Link copied!