গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার বাস্তবায়ন হলে চলতি অর্থবছর শেষে জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধি ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা বিশ্বব্যাংক।
এ ছাড়াও একই সময়ে দক্ষিণ এশিয়ার গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে। যা বাংলাদেশের তুলনায় ১ শতাংশ বেশি।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ অফিসে আয়োজিত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংস্থাটি বলছে, ২০২৬-২৭ অর্থবছরের মধ্যে ৬ দশমিক ৩ শতাংশে উন্নীত হওয়ার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেটে বলা হয়েছে, ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে মারাত্মক ব্যাঘাত সত্ত্বেও পরবর্তী প্রান্তিকগুলোতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পেয়েছে। বহিরাগত খাতের চাপ হ্রাস পেয়েছে, রিজার্ভ হ্রাস স্থিতিশীল হয়েছে এবং মুদ্রাস্ফীতির চাপ হ্রাস পেয়েছে।
তবে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে বলে মনে করে সংস্থাটি। বেসরকারি বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধি তীব্রভাবে ধীর হয়ে গেছে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি স্থবির হয়ে পড়েছে। ব্যাংকিং খাত এখনও ঝুঁকিপূর্ণ উচ্চ মাত্রার অনাদায়ী ঋণের কারণে। রাজস্ব আদায় এখনও দুর্বল।
বিশ্বব্যাংক বলছে, জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সামান্য হ্রাস পেয়ে ৪ দশমিক ০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল ৪ দশমিক ২ শতাংশ।
বেসরকারি বিনিয়োগ কমে যাওয়ার কারণ উল্লেখ করে তারা বলছে, দুর্বল বিনিয়োগের কারণে প্রবৃদ্ধির মন্দা দেখা দিয়েছে, যা মাত্র ০ দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং ব্যবসা পরিচালনার উচ্চ ব্যয়ের কারণে বেসরকারি বিনিয়োগ কম ছিল।
সংস্থাটির তথ্যমতে, সরকারি বিনিয়োগও হ্রাস পেয়েছে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির ব্যয় এবং মূলধনী পণ্যের আমদানি যথাক্রমে ২৫ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ১০ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে। চাহিদা স্থিতিশীল থাকার কারণে রপ্তানিতে প্রত্যাবর্তন ঘটেছে। শক্তিশালী রেমিট্যান্স প্রবাহ ভোগকে সমর্থন করেছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন