ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ডাকাতির সময় তিন ডাকাতকে আটক করেছে জনতা। সোমবার (০৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বেজপাড়া গ্রামে ডাকাতির সময় জনতা তাদের ধরে ফেলে।
আটককৃত ডাকাতরা হলেন হরিনাকুন্ডু উপজেলার আবুল হোসেনের ছেলে শাহাবুর মন্ডল (৩২), একই উপজেলার বৈঠাপাড়া গ্রামের মহিউদ্দিন সর্দারের ছেলে রানা হোসেন (২৩), ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চান্দুয়ালী গ্রামের ওবায়দুল মন্ডলের ছেলে তুষার আহম্মেদ সাকিব (২১)। আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বেজপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের বাড়িতে ডাকাত হানা দেয়। তার স্ত্রী রিজিয়া বেগমকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণের চেইন, কানের দুল ও আংটি ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় রিজিয়া বেগম ডাকাতদের পিছু ধাওয়া করেন এবং চিৎকার করে আশপাশের লোকজনকে ডাকেন। এসময় প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে ডাকাত দলের পিছু ধাওয়া করে তিনজনকে আটক করেন।
এলাকাবাসী আরো জানান, আটক ডাকাত সদস্যদের কাছ থেকে জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চান্দুয়ালী গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে রোকনের নেতৃত্বে তারা আটজন ডাকাতি করতে আসে। বাড়িতে চারজন প্রবেশ করেছিল আর বাইরে চারজন ছিল। ধাওয়া খেয়ে বাকিরা পালিয়ে যায়।
আব্দুর রশিদের স্ত্রী রিজিয়া বেগম বলেন, বাসায় কেউ ছিল না। রাতে আমি আমার রুমে শুয়েছিলাম। হঠাৎ করেই চারজন লোক ঘরের মধ্যে চলে আসে। তারা বলে, আমরা পুলিশ। আপনার ঘরে মাদক আছে, সার্চ করতে হবে। একথা বলে তারা ঘরের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। আর দুজন আমাকে পাশের রুমে নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন কথা বলে সময় ব্যয় করে। পরে আমি জোর করে রুম থেকে বেরিয়ে দেখি আমার ঘরের আলমারি ভাঙা। আলমারিতে রাখা টাকা ও ৩ থেকে ৪ ভরি গহনা তারা নিয়ে নিয়েছে। চিৎকার শুরু করলে তারা আমাকে ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এসময় গ্রামবাসীরা ধাওয়া দিয়ে তিনজনকে ধরে ফেলে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। এলাকাবাসীর উপস্থিতে ডাকাতদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। এঘটনায় কালিগঞ্জ থানায় একটি মামলা দয়েরপূর্বক আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এঘটনায় জড়িত বাকিদের আটক ও স্বর্ণ উদ্ধারে অভিযান চলমান।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন