বৃহস্পতিবার, ০১ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১২, ২০২৪, ০৯:৪১ পিএম

বনানীতে ৪ দিন চলবে খাবার উৎসব ‘টেস্ট অব বাংলাদেশ’

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১২, ২০২৪, ০৯:৪১ পিএম

বনানীতে ৪ দিন চলবে খাবার উৎসব ‘টেস্ট অব বাংলাদেশ’

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ড, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অনন্য উদ্যোগ হলো দেশি খাবারের উৎসব ‘টেস্ট অব বাংলাদেশ’। এর মাধ্যমে দেশের অঞ্চলভিত্তিক ঐতিহ্যবাহী ও বাহারি স্বাদের খাবার একটি প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসা হয়। বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ড ২০২৩ সালে প্রথমবারের মতো ঢাকার প্রাণকেন্দ্র বনানীতে এই আয়োজন করে যেখানে ৪৪টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে।

টেস্ট অব বাংলাদেশের প্রথম আয়োজন রাজধানী ঢাকার খাবারপ্রেমী দর্শনার্থীদের মধ্যে এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করে এর খাদ্য বৈচিত্র্য, ঐতিহ্যবাহী খাবারের পসরা এবং বাহারি স্বাদের জন্য। বাংলাদেশের অঞ্চলভিত্তিক ঐতিহ্যবাহী খাবারের টেকসই রূপদান, বাংলাদেশি খাবার বিষয়ে সচেতনতা, গ্যাস্ট্রোনমি টুরিজমের প্রসার এবং অঞ্চলভিত্তিক বৈচিত্র্যময় খাবার দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের কাছে তুলে ধরতে এ প্রোগ্রামটি আয়োজন করা হবে। প্রথমবারের সফলতার পথ ধরে টেস্ট অব বাংলাদেশের সিজন ২ আগামী ১৩-১৬ ডিসেম্বর ঢাকার বনানীর মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক পার্কে অনুষ্ঠিত হবে। এবারের আয়োজনে অঞ্চলভিত্তিক ৬২টি স্টল বাহারি ও ঐতিহ্যবাহী খাবার নিয়ে টেস্ট অব বাংলাদেশে অংশগ্রহণ করছে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ টেস্ট অব বাংলাদেশ আগামীকাল শুক্রবার চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন। এবারের আয়োজনে ঢাকার বিউটি লাচ্ছি; লালবাগের কাচ্চি বিরিয়ানি; ফাইজানে মদিনার বিখ্যাত বোবার বিরিয়ানি; বাকরখানি; বিসমিল্লার কাবাব; কুমিল্লার রসমালাই; খুলনার চুইঝাল, শেরপুরের ছানার পায়েস ও তুলশীমালার চাল; বিখ্যাত রাজা-চা; ছোটন মামার ফায়ার পান; হাসের মাংস, ছিটা রুটি; যশোরের জামতলার সাদেক গোল্লা; বগুড়ার দই, ক্ষীরসা; কক্সবাজারের সি-ফুড; পার্বত্য চট্টগ্রামের বেম্বো চিকেন; চট্টগ্রামের মেজবান; বরিশালের রসচুসি, দুধচিতই, পাটিসাপটা, পোয়াপিঠা, বেনিপিঠা, জামাইপিঠা, তালেরপিঠা, বউ সুন্দরী, লবঙ্গ লতিকা, হৃদয়হরণ, ইলিশপিঠা, ভাপাপুলি, মোরগ পোলাও, তেহারি ও বোরহানি, ফুচকা ও হালিম; ডাবের পুডিং; নাটোরের কাচাগোল্লা ও সন্দেশ; মৌলভীবাজারের মনিপুরি হাইনা চা ও খাবার; রাজশাহীর কালাই রুটি ও হাসের মাংসের স্বাদ নেওয়া যাবে।

এ ছাড়া বর্তমান পাঁচ তারকা মানের হোটেল যেমন ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা, প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও, শেরাটন ঢাকা তাদের বাংলাদেশি কুজিনকে ভিন্ন আঙ্গিকে উপস্থাপন করবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন এবং এসএমই উদ্যোক্তারা তাদের বাহারি খাবার নিয়ে অংশগ্রহণ করবেন। তরুণ প্রজন্মের খাবার নিয়ে এখানে থাকবে জেন-জি হ্যাঙআউট কর্নার।

ঐতিহ্যবাহী ও বাহারি খাবারের সঙ্গে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। চার দিনব্যাপী আয়োজনে বাংলাদেশের অঞ্চলভিত্তিক ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক পরিবেশনা যেমন রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী গম্ভীরা, কুদ্দুস বয়াতির গান, পুথি পাঠ, অঞ্চল ভিত্তিক খাবার নিয়ে বিতর্ক, বাউল সংগীত, কাওয়ালি, পুতুল নাচ, পাহাড়ি নৃত্য, জেলে, সাপুড়ে, মাঝিসহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের যৌথ নৃত্য পরিবেশনা, ব্যান্ড সংগীত, র‍্যাফেল ড্র, লাইভ কুকিং কমপিটিশন ইত্যাদি। এ ছাড়া অঞ্চলভিত্তিক ঐতিহ্যবাহী জিআই পণ্যের কর্নার, বাদ্যযন্ত্র কর্নার, বিদেশি অতিথিদের অংশগ্রহণের বাংলাদেশি খাবার নিয়ে মজার অভিজ্ঞতা।

বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ড, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত টেস্ট অব বাংলাদেশ ফুড ফেস্টিভ্যাল আয়োজনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ওয়াশা, ডেসকো, ফায়ার সার্ভিস, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ গুলশান জ়োন, টুরিস্ট পুলিশ, এসএমই ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, ঢাকা বনানী সোসাইটি সহযোগিতা প্রদান করছে। এ ছাড়া অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন সহযোগী হিসেবে স্পেলাবাউন্ড কমিউনিকেশন লিমিটেড, আইসক্রিম পার্টনার পোলার আইসক্রিম, করপোরেট পার্টনার রানার অটোমোবাইল ও আর আর ক্যাবল, ইভি পার্টনার বিওয়াইডি, হসপিটালিটি পার্টনার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও এবং ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা, কালচারাল পার্টনার কালচারাল ক্লাসিকিস্ট ভূমিকা রাখছে।

বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার ও সংস্কৃতির অসামান্য মেলবন্ধন এই টেস্ট অব বাংলাদেশ। এ আয়োজনকে বাংলাদেশিদের দীর্ঘদিনের লালিত খাবার ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সংরক্ষণের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে যা টেকসই সংস্কৃতি গঠনে ভূমিকা রাখবে। টেস্ট অব বাংলাদেশের অন্যতম উদ্দেশ্য তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী দেশীয় খাবার ও সংস্কৃতির পরিচয় করা। এর মাধ্যমে আমাদের শিশু ও কিশোররা বাংলাদেশে যে কত ধরনের খাবার হতে পারে তা দেখে অভিভূত হবে। আমাদের ঐতিহ্যবাহী ও বাহারি খাবারকে বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ডিং করার সুযোগ তৈরি হবে।

আরবি/জেডআর

Link copied!