টানা কয়েক দিনের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পর বিশ্ববাজারে কমতে শুরু করেছে সোনার দাম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি প্রত্যাহার করায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মূল্যবান ধাতুটির চাহিদা কমে গেছে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার (২৬ মে) আন্তর্জাতিক বাজারে স্পট গোল্ডের দাম প্রতি আউন্সে ০.৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩,৩৩২.৪ ডলারে। অন্যদিকে ফিউচার মার্কেটে সোনার দাম ১ শতাংশ কমে প্রতি আউন্স ৩,৩৩১.৯০ ডলারে বিক্রি হয়েছে।
ডলারের মূল্য হ্রাসের কারণে বিদেশি ক্রেতাদের কাছে স্বর্ণ কিছুটা সস্তা হয়ে ওঠায় সাময়িকভাবে দাম বাড়লেও এখন আবার তা কমছে। গত ২১ মে স্পট গোল্ডের দাম প্রতি আউন্সে ০.৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছিল ৩,৩০৫.৩৯ ডলার যা ছিল ১২ মে’র পর সর্বোচ্চ।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের ঘোষিত শুল্কারোপ বিলম্বের সিদ্ধান্তই বাজারে এই পরিবর্তনের অন্যতম কারণ। এতে সোনার নিরাপদ বিনিয়োগমূল্য কিছুটা দুর্বল হয়েছে।
বিশ্ববাজারে দরপতন শুরু হলেও দেশের বাজারে সোনার দাম এখনো ঊর্ধ্বমুখী। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) গত সপ্তাহে টানা দুই দফায় সোনার দাম বাড়িয়েছে।
গত বুধবার (২১ মে) ভরিতে ২,৮২৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম নির্ধারণ করা হয় ১,৬৯,৯২১ টাকা। পরদিন বৃহস্পতিবার (২২ মে) থেকে এই নতুন দাম কার্যকর হয়।
বর্তমানে সোনার দাম (প্রতি ভরি)- ২২ ক্যারেট: ১,৬৯,৯২১ টাকা, ২১ ক্যারেট: ১,৬২,২০০ টাকা, ১৮ ক্যারেট: ১,৩৯,০২৩ টাকা, সনাতন পদ্ধতি: ১,১৪,৯৪৯ টাকা।
আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দর কমলেও দেশের বাজারে এখনো তার প্রভাব পড়েনি। তবে ভবিষ্যতে এই দরপতনের প্রভাব স্থানীয় বাজারেও পরিলক্ষিত হতে পারে বলে ধারণা করছেন বাজার বিশ্লেষকরা। ফলে স্বর্ণ বিনিয়োগকারীদের জন্য এখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় নয় বলে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।