শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২৫, ০৮:৩৫ পিএম

আ.লীগের সময়ে পাচার ২০ বিলিয়ন অর্থের সন্ধান মিলেছে

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২৫, ০৮:৩৫ পিএম

টাকার ছবি- সংগৃহীত

টাকার ছবি- সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় প্রায় ২.৫ লাখ কোটি টাকা (২০ বিলিয়ন ডলার) পাচার হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর গতকাল (মঙ্গলবার) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

গভর্নর বলেন, ‌‘এটি একটি প্রাথমিক হিসাব। এখনো তদন্ত চলছে এবং পাচার হওয়া অর্থের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।’

তিনি আরও জানান, একজন ব্যক্তি বিদেশে ৩৫০টি বাড়ি কিনেছেন, যা ব্যাংক ঋণ নিয়ে পাচার করা অর্থ দিয়েই সম্ভব হয়েছে।

এই তথ্য উঠে আসে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) ২০২৩–২৪ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে। সভাটি হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে।

ড. আহসান মনসুর জানান, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে তিন থেকে পাঁচ বছর সময় লাগতে পারে। এরই মধ্যে বিদেশে এক পাচারকারীর সম্পদ জব্দ হয়েছে, আরও জব্দের প্রক্রিয়া চলছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা কাউকে হয়রানি করতে চাই না বা ব্যবসা বন্ধ করতে চাই না। তবে পাচারকারীদের ওপর চাপ তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য।’

‘অর্থ ফেরত আনার প্রক্রিয়া গতিশীল করতে আইনে পরিবর্তন এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমানো হচ্ছে। এ কাজে সহায়তা করছে বিশ্বব্যাংক, এবং ১১টি গ্রুপ নিয়ে যৌথ তদন্ত চলছে।’

ড. মনসুর আরও জানান, আর্থিকভাবে দুর্বল ছয়টি ব্যাংককে জুলাইয়ের মধ্যে একীভূত করা হবে। একীভূত ব্যাংকগুলোর মধ্যে ‘ব্যাংক রেজল্যুশন ফান্ড’ গঠন করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যাতে আমানতকারীদের অর্থ নিরাপদ থাকে।

তিনি বলেন, ‘সরকারের নিয়ন্ত্রণে আসায় আমানতকারীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। তারা যেন অপ্রয়োজনীয়ভাবে টাকা উত্তোলন না করেন।’

সভায় জানানো হয়, ২০২৩–২৪ অর্থবছরে বিএফআইইউতে ১৭ হাজার ৩৪৫টি সন্দেহজনক লেনদেন ও কার্যক্রমের (এসটিআর/এসএআর) প্রতিবেদন জমা পড়ে, যা আগের বছরের তুলনায় ২৩ শতাংশ বেশি।

এ ছাড়া বিভিন্ন সংস্থাকে ১১৪টি আর্থিক গোয়েন্দা প্রতিবেদন ও ১ হাজার ২২০টি তথ্য বিনিময় করা হয়েছে, যা ১৩.৯১ শতাংশ বৃদ্ধি।

বিএফআইইউ প্রধান এ এফ এম শাহীনুল ইসলাম বলেন, ‘অর্থ পাচার ও হুন্ডি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা ও লেনদেন ভারসাম্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশনায় এ বিষয়ে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’

পরিচালক মুহাম্মদ আনিছুর রহমান বলেন, ‘অর্থ পাচার শনাক্ত ও উদ্ধার একটি চলমান প্রক্রিয়া। গত জুলাই থেকে বিএফআইইউর কাজ কয়েক গুণ বেড়ে গেছে।’

Link copied!