অবশেষে পর্দা উঠল ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৯তম আসরের। বুধবার (১ জানুয়ারি) সকালে পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিসিএফসি) এ মেলার উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্র জানায়, ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং হংকংসহ ৭টি দেশের ১১টি প্রতিষ্ঠানসহ এবারের বাণিজ্য মেলায় রয়েছে ৩৬২টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন। জুলাই-আগস্টের ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থানকে প্রাধান্য দিয়ে হয়েছে জুলাই চত্বর, ছত্রিশ চত্বর ও তারুণ্যের প্যাভিলিয়ন। সেই সঙ্গে রয়েছে ই-টিকিটের ব্যবস্থা। আর এতে করে এবার প্রবেশ পথে আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জানা গেছে, এবারের মেলায় প্রথমবারের মতো অনলাইনে বিভিন্ন ক্যাটাগরির স্টল বা প্যাভিলিয়ন স্পেস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ক্রেতা-দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বিআরটিসির ডেডিকেটেড বাস সার্ভিসের পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে বিশেষ ছাড়ে উবার সার্ভিস।
এ বছর মেলায় সম্ভাবনাময় সেক্টর বা পণ্যভিত্তিক সেমিনার আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্বতন্ত্র সোর্সিং কর্নার, ইলেক্ট্রনিক্স ও ফার্নিচার জোন রয়েছে বিদেশি প্রতিষ্ঠান বা উদ্যোক্তাদের সুবিধার্থে। এছাড়া সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য সিটিং কর্নার এবং বয়সভিত্তিক দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে প্রযুক্তি কর্নার।
বিআরটিসি সূত্র জানায়, কুড়িল, ভুলতা, গাজীপুর এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে মেলা চলাকালে ৩০০টি বাস চলবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে এই মেলা। প্রবেশমূল্য হিসেবে প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ৫০ টাকা এবং শিশুদের জন্য ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে হয়েছে। আয়োজক এবং কর্তৃপক্ষের আশা এবারের মেলায় আগের তুলনায় দর্শনার্থীর উপস্থিতি বেশ ভালো হবে।
আপনার মতামত লিখুন :