রাজধানীর খিলগাঁওয়ের তিলপা পাড়ার বাসায় পারিবারিক কলহের জেরে তানিশা আক্তার লাইজু (২১) নামে এক নারী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি তেজগাঁও মহিলা কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
তানিশা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শাহাপুর গ্রামের মুজিবুর রহমানের মেয়ে। বর্তমানে খিলগাঁওয়ের তিলপা পাড়ায় ভাড়া থাকতেন।
রোববার (৬ জুলাই) রাত সাড়ে ৩টার দিকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তানিশার বাবা মুজিবুর রহমান জানান, আমার মেয়েকে ফয়সাল আহমেদ নামে এক সরকারি চাকরিজীবীর সাথে বিয়ে দিয়েছিলাম। বিয়ের পরও আমার মেয়ে তেজগাঁও মহিলা কলেজে অনার্সে লেখাপড়া করত। গতরাতে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর ওপর অভিমান করে নিজের ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ কর দেয় তানিশা।
পরে খিলগাঁও থানা পুলিশের সহযোগিতায় অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান, আমার মেয়ে আর বেঁচে নেই।
খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল আমিন জানেন, গত রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের বাড়িতে যাই। পরে বন্ধ দরজা ধাক্কা দিয়ে খুলে দেখি তানিশা নামের ওই নারী গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে। অচেতন অবস্থায় দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ওই নারীকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, নিহতের পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি, স্বামীর সাথে পারিবারিক কলহের জেরে এই ঘটনাটি ঘটেছে। পাশাপাশি আমরা এও জেনেছি, ওই নারী তেজগাঁও মহিলা কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাই মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান।