শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ২৫, ২০২৫, ১১:০১ এএম

কাঁচাবাজারে উত্তাপ, অস্বস্তিতে মধ্যবিত্তরা

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ২৫, ২০২৫, ১১:০১ এএম

শাক-সবজি। ছবি- সংগৃহীত

শাক-সবজি। ছবি- সংগৃহীত

প্রবাদ আছে ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’। তবে চাল ও মাছের চড়া দামে সেই প্রবাদ যেন অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে। কেননা মাসখানেকের বেশি সময় ধরে অস্থির চালের বাজার। একইসঙ্গে মাছের রাজা ইলিশের দামও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। এদিকে,রাজধানীর বাজারে বেড়েছে বেশিরভাগ শাকসবজির দাম।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে মিনিকেট চালের কেজি ৮২-৮৫ টাকা, নাজিরশাইল ৮৫-৯২ টাকা এবং মোটা চাল ৫৬-৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৫০০-২৬০০ টাকায়; যা আগে ছিল ২২০০ টাকা। সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ২০০-৩০০ টাকার মতো। এছাড়া ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৭০০ টাকা, ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ২২০০ টাকা ও দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩০০০-৩২০০ টাকায়। 

এদিকে, প্রতিকেজি বোয়াল ৭৫০-৯০০ টাকা, কোরাল ৮৫০ টাকা, আইড় ৭০০-৮০০ টাকা, চাষের রুই ৩৮০-৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ১৮০-২২০, পাঙাশ ১৮০-২৩০, কৈ ২০০-২২০ এবং পাবদা ও শিং বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকায়। আর চাষের ট্যাংরা প্রতি কেজি ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা, কাঁচকি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা ও মলা ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা বলছেন,‘সরবরাহ কম থাকায় চড়া ইলিশের বাজার। এর প্রভাব পড়েছে অন্যান্য মাছের দামেও। রাজধানীর কারওয়ানবাজারের ইলিশ বিক্রেতা মো. শুকুর আলী বলেন, সাগরে এবার ইলিশ কম ধরা পড়ছে। যা ধরা পড়েছ তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। এতে বেড়ে গেছে দাম।’

মাছ কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, ‘ইলিশ তো সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরেই চলে গেছে। কেজিতে অন্তত তিনশো টাকা বেড়েছে সপ্তাহ ব্যবধানে। অন্যান্য মাছের দামও চড়া।’

এদিকে বৃষ্টির অজুহাতে বেড়েছে সবজির দাম। বাজারে প্রতিকেজি কচুরমুখী ৫০-৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৪০ টাকা, পেঁপে ২০-২৫ টাকা, পটোল ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০-৭০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা ও কহি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া করলা ৫০-৬০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, শসা ৭০ টাকা ও ধনেপাতা ৮০ টাকা , লাউ প্রতি পিস ৬০-৭০ টাকা ও চালকুমড়া প্রতি পিস ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৫৫-৬৫ টাকা, আলু ২৫ টাকা, দেশি রসুন ১০০-১৩০ টাকা এবং আদা ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতারা বলেন, কেজিতে সবজির দাম বেড়েছে ৫-১০ টাকা পর্যন্ত। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় তলিয়ে গেছে সবজির ক্ষেত। কৃষকরা সবজি তুলতে পারছেন না। এতে সরবরাহ কমায় দাম বেড়েছে।

সবজি কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, ‘বাজারে এলেই শুধু আফসোস। সব জিনিসের দামই বেড়েছে, সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’

তবে বাজারে কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। তবে দাম বেড়েছে সোনালি মুরগির। বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়, যা আগে ছিল ১৭০ টাকা। আর প্রতিকেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩২০ টাকায়; যা আগে ছিল ৩০০ টাকা।

অন্যদিকে, গরু ও খাসির মাংসের দামে তেমন পরিবর্তন নেই। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়, খাসির মাংস ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১ হাজার ১০০ টাকায়।

ডিমের বাজারে কিছু স্বস্তি বিরাজ করছে। প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকায়, আর প্রতি ডজন সাদা ডিমের জন্য গুনতে হচ্ছে ১১০ টাকা। তবে পাড়া-মহল্লার দোকানগুলোতে ডজনে ৫-১০ টাকা বাড়তি দামে ডিম বিক্রি হতে দেখা গেছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!