জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে পৃথিবীর বড় শহরগুলোতে দিন দিন বাড়ছে বায়ুদূষণ। দীর্ঘদিন ধরেই মেগাসিটি ঢাকার বাতাস দূষিত অবস্থায় রয়েছে। যদিও সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে বায়ুমান কিছুটা উন্নতি হয়েছিল, তবে সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল থেকে আবারও ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে নেমে এসেছে।
সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে আন্তর্জাতিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঢাকার বায়ু মানের সূচক (একিউআই) ছিল ১৫৬, যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ে।
অন্যদিকে, ৩০০ স্কোর নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, যার বাতাস নাগরিকদের জন্য ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি (স্কোর ২৫৬) এবং তৃতীয় স্থানে কলকাতা (স্কোর ১৮৫)।
আইকিউএয়ার স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা আইকিউএয়ার ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন—বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।
বায়ুদূষণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার ও শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন