ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে উত্তরা দিয়াবাড়ী ৪ নম্বর ব্রিজ সংলগ্ন ১১ নম্বর লেকপাড়ের পূর্বপাশে গ্রিন বেল্ট চিহ্নিত এলাকায় দেশের সর্ববৃহৎ মিয়াওয়াকি বন গড়ে তোলা হয়েছে।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ প্রায় ৫৪ দশমিক ৬৩ কাঠা আয়তনের এ বনায়ন প্রকল্প উদ্বোধন করেন। এখানে প্রচলিত মিয়াওয়াকি পদ্ধতির পাশাপাশি আধুনিক পরিবেশ ভাবনা সংযুক্ত করা হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করেছে ডিএনসিসি।
ডিএনসিসি জানায়, এই নগর বনায়ন এলাকায় প্রায় ১৪ হাজার চারা রোপণ করা হচ্ছে, যেখানে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে প্রায় ২২৫ প্রজাতির দেশীয় ফলজ, বেরিজাত, ফুল, ঔষধি, কাঠজাত, শোভাবর্ধনকারী, কনিফার, গুল্ম ও ঝোপালো প্রজাতির গাছ। মানুষ ও প্রকৃতির পারস্পরিক সংযোগ জোরদারে ‘বায়োফিলিক’ ধারণাকে প্রাধান্য দিয়ে বায়োমিমিক্রি নীতিমালার আলোকে সংবেদনশীল স্থানিক নকশার আলোকে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
এ বনাঞ্চলে প্রাকৃতিক পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার জন্য কৃত্রিম পাহাড় তৈরি করা হয়েছে এবং দোঁ-আঁশ মাটির সাথে নির্ধারিত পরিমাণে ভার্মি কম্পোস্ট, অর্গানিক ফার্টিলাইজার, বোন মিল, কোকোডাস্ট, রাইস হাস্ক ও তরল সার মিশ্রণ করে বনোপযোগী পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। এ বনায়নে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সুপ্রশংসিত জাপানি ধারণা ‘শিনরিন ইয়োকু’ বা ‘ফরেস্ট বাথিং’ কার্যক্রম, যা মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হবে। ঢালু ও আঁকাবাঁকা পথ, ঘন বনের ভেতর এবং লেকের পাড় ঘেঁষে পদচারণার সুবিধা রাখা হয়েছে।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) কর্তৃক নির্ধারিত নকশা অনুযায়ী গ্রিন বেল্ট চিহ্নিত এলাকায় এ নগর বনায়নটি বাস্তবায়ন করছে ডিএনসিসি।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন