রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ০৮:৫৬ এএম

পথশিশুদের পর্নোগ্রাফি বানিয়ে হাজার ডলারের ব্যবসা

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ০৮:৫৬ এএম

ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত

ছিন্নমূল পথশিশুদের ৩-৪টি পর্নোগ্রাফি ভিডিও বানিয়ে তা আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছে হাজার ডলারে বিক্রি করেন শিশুসাহিত্যিক টিপু কিবরিয়া, যার প্রকৃত নাম টিআই এম ফখরুজ্জামান।

গতকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর খিলগাঁও থেকে আন্তর্জাতিক শিশু পর্নোগ্রাফির এই হোতাকে তার সহযোগী কামরুল ইসলাম ওরফে সাগরসহ গ্রেপ্তার করেছে সিটিটিসি’র স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপ বিভাগের এন্টি ইললিগ্যাল আর্মস রিকোভারি টিম।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোড ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বসেই টিপু কিবরিয়া আন্তর্জাতিক শিশু পর্নোগ্রাফি অপরাধী চক্রের সঙ্গে যুক্ত। ভয়ংকর এ অপরাধে জড়িত থাকার কারণে অনেক দেশে তিনি শিশু পর্নোগ্রাফির অপরাধী হিসেবে তালিকাভুক্ত।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ২০১৪ সালের জুনে শিশুদের পর্নোগ্রাফি তৈরি ও পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইন্টারপোলের তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাকে প্রথম গ্রেপ্তা করে। ওই ঘটনায় ছয় বছর কারাগারে থাকার পর ২০২১ সালে কারামুক্ত হন টিপু। এরপরও স্বভাব বদলায়নি তার। নজরদারিতে থাকা টিপুকে একই অপরাধে ফের গ্রেপ্তার করেছে সিটিটিসি।

তিনি আরও বলেন, ঢাকার গুলিস্তান, রমনাপার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ছিন্নমূল পথশিশুদের অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে পর্নোগ্রাফির কাজে যুক্ত করতেন তিনি। পরে তাদের অশ্লীল এবং গোপনাঙ্গের ছবি ও ভিডিও ধারণ করে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছে পাঠাতেন।

এছাড়া, তাদের চাহিদা মতো বন-জঙ্গলে নিয়েও ছিন্নমূল পথশিশুদের পর্নোগ্রাফির ভিডিও ধারণ করে পাঠিয়ে দিতেন টিপু। পরে এসব ভিডিও বিভিন্ন পর্নোগ্রাফি সাইটে আপলোড করা হত বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান বলেন, মাত্র পাঁচশত থেকে হাজার টাকার প্রলোভনে টিপু এসব পথশিশুদের নিয়ে আসতেন। তার চক্রে কামরুল ছাড়াও অনেক সহযোগী রয়েছে। চক্রের সদস্যরাও অর্থের লেনদেন করতেন ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন ও কিছু এমএফএস’র মাধ্যমে। ৩–৪টি ছোট ভিডিও পাঠালেই তিনি পেতেন হাজার ডলার।

তিনি আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে টিপুর এজেন্ট। এরকম বেশ কয়েকজন এজেন্টকে আমরা শনাক্ত করেছি। পাশাপাশি ২৫–৩০ জনের মতো ভুক্তভোগী শিশুকে শনাক্ত করা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা সবাই ছেলে। তাদের সংখ্যা অনেক।

Link copied!