দুই দশকের বেশি সময় ধরে প্রাক-প্রাথমিক স্তর থেকে উপবৃত্তি দিচ্ছে সরকার যাতে শিশুদের বিদ্যালয়মুখী করা যায়। তবে এ পর্যন্ত বিদ্যালয়ে ভর্তির পর শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া ঠেকাতে কয়েক দফায় উপবৃত্তির টাকার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।
বর্তমানে উপবৃত্তির আওতায় প্রায় ৮৬ লাখ শিক্ষার্থী। সরকার মনে করছে উপবৃত্তির টাকা বাড়ালে প্রাথমিকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে। তাই দেশের বাজার পরিস্থিতির সঙ্গে সংগতি রেখে এবার দ্বিগুণ হচ্ছে উপবৃত্তির টাকা।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ‘শতভাগ’ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি নিশ্চিতে কাজ করছে। তাই অভিভাবকদের দীর্ঘদিনের দাবির পর উপবৃত্তি দ্বিগুণ করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি অনুমোদন হলেই শিক্ষার্থীরা পাবে বাড়তি উপবৃত্তির টাকা।
অধিদপ্তরের উপবৃত্তি শাখার তথ্যমতে, বর্তমানে ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ভিন্ন ভিন্ন হারে উপবৃত্তির টাকা পাচ্ছে। বর্তমানে প্রাক-প্রাথমিকের একজন শিক্ষার্থী মাসিক ৭৫ টাকা হারে উপবৃত্তির টাকা পায়। প্রাথমিকে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১৫০ টাকা এবং যেসব স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে চালু রয়েছে, সেখানে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টমের শিক্ষার্থীরা ২০০ টাকা হারে মাসিক উপবৃত্তি পায়। বছরে দুবার (ছয় মাস পরপর) মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নগদের মাধ্যমে এ উপবৃত্তির টাকা দেওয়া হয়।
তবে শিক্ষা অধিদপ্তরের উপবৃত্তি শাখার সহকারী পরিচালক মো. কবির উদ্দীন বলেন, নতুন প্রস্তাবনায় প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে প্রাথমিকের সব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সমান হারে উপবৃত্তির টাকা দেওয়ার প্রস্তাব করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। প্রতি পরিবার থেকে দুজনের বেশি উপবৃত্তি না পাওয়ার নিয়মটা না রাখার বিষয়েও প্রস্তাব করা হয়েছে। কারণ এটি বাস্তবায়ন হলে দুই সন্তানের বেশি কোনো সন্তান স্কুলবিমুখ হবে না।
তিনি আরও জানান, যদি এ প্রস্তাব অনুমোদন হয়ে আসে, তাহলে চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছরের দ্বিতীয় ধাপে (জানুয়ারি-জুন) বাড়তি হারে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা দেওয়া হতে পারে বলেও জানান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
আপনার মতামত লিখুন :