সুস্থ জীবনের জন্য খাদ্যাভ্যাসে ভারসাম্য বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। আজকাল অনেকেই স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে সাদা চালের ভাত বা পরিশোধিত আটা (ময়দা) এড়িয়ে গমের রুটি বা আটা রুটি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলছেন। কারণ, গমের রুটি শুধু ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক নয়, বরং এটি নানা ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতাও দেয়।
চলুন জেনে নিই প্রতিদিন গমের রুটি খাওয়ার কী কী উপকারিতা রয়েছে-
১. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
গমের রুটি হাই ফাইবার যুক্ত, ফলে এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। এতে ক্ষুধার পরিমাণ কমে যায় এবং অতিরিক্ত খাওয়া এড়ানো যায়, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
২. হজমশক্তি উন্নত করে
গমের রুটিতে থাকা আঁশ (ডায়েটারি ফাইবার) পাচনতন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। নিয়মিত গমের রুটি খেলে পেট পরিষ্কার থাকে এবং গ্যাস্ট্রিক বা বদহজমের সমস্যা কমে।
৩. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
সম্পূর্ণ গমের রুটি ধীরে ধীরে রক্তে গ্লুকোজ ছাড়ে, ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে বাড়ে না। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি একটি ভালো কার্বোহাইড্রেট উৎস।
৪. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
গমের রুটিতে থাকা ফাইবার এবং উপকারী ফ্যাট হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এটি খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক।
৫. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
গমের রুটিতে থাকা জিংক, আয়রন, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ইত্যাদি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। নিয়মিত খেলে শরীর থাকে সুস্থ ও শক্তিশালী।
৬. হাড় ও দাঁত মজবুত করে
গমের রুটিতে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম থাকে, যা হাড় ও দাঁতের গঠন মজবুত করে এবং অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমায়।
৭. ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
ভিটামিন ই ও জিংকসমৃদ্ধ গমের রুটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং চুলের গুণগত মান উন্নত করে।
কীভাবে খাবেন
প্রতিদিন সকালের নাশতা বা দুপুরের খাবারে ভাতের পরিবর্তে গরম গরম গমের রুটি খেতে পারেন।
রুটি খাওয়ার সঙ্গে সবজি, ডাল বা গ্রিল করা প্রোটিন যুক্ত করলে খাবার আরও পুষ্টিকর হয়।
সতর্কতা
পরিমিত খেতে হবে; বেশি খেলে অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট গ্রহণের ঝুঁকি থেকে যায়।
যারা গ্লুটেন সেনসিটিভ বা সিলিয়াক ডিজিজে ভুগছেন, তাদের জন্য গমের রুটি না খাওয়াই ভালো।
আপনার মতামত লিখুন :