ঢাকা রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫

বদলি নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের মন্ত্রণালয়ের নতুন আদেশ

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০২৫, ০৬:০৪ পিএম
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বদলির আবেদন শুরু। ছবি- সংগৃহীত

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের জন্য বদলি প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন আদেশ জারি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ডা. ফাহিম ইকবাল জাগীরদার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

চিঠিতে আন্তঃউপজেলা, জেলা ও বিভাগ পর্যায়ে বদলির অনলাইন আবেদন গ্রহণের সময়সীমা, শর্ত এবং যাচাইবাছাই সংক্রান্ত দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

চিঠিতে বলা হয়, বদলির জন্য আবেদন শুরু হবে ২০ জুলাই থেকে, যা চলবে ২৯ জুলাই পর্যন্ত। নতুন আদেশে বদলি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা আনতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত আরোপ করা হয়েছে।

চিঠিতে আরও জানানো হয়, যেসব সহকারী শিক্ষক স্বামী-স্ত্রী বা স্থায়ী ঠিকানায় বদলি হতে আগ্রহী, তাদের জন্য অনলাইনে বদলির আবেদন নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে শূন্য পদের বিপরীতে আবেদন যাচাইবাছাই শেষে আগস্টের শেষ সপ্তাহে বদলির অনুমোদন দেওয়া হবে।

চিঠিতে বদলির ব্যাপারে কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো: 

১. শিক্ষকরা সর্বোচ্চ তিনটি বিদ্যালয় ক্রমানুসারে পছন্দ করবেন। তবে কোনো শিক্ষকের একাধিক পছন্দ না থাকলে একটি বিদ্যালয় পছন্দ করতে পারবেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বদলির আদেশ জারি হলে তা বাতিল করার জন্য পরবর্তীতে কোনো আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।

২. যাচাইকারী কর্মকর্তা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ১০ অক্টোবর জারিকৃত সর্বশেষ ‘সমন্বিত অনলাইন বদলি নির্দেশিকা ২০২৩’ অনুযায়ী আবেদনকারীর আবেদন ও অন্যান্য কাগজপত্রাদি যাচাই করে অগ্রায়ন করবেন। 

৩. যাচাইকারী কর্মকর্তা সতর্কতার সঙ্গে যাচাই করবেন। যাচাইপূর্বক প্রেরণ করার পর পরবর্তীতে তা পুনর্বিবেচনার আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না।

৪. সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত বিদ্যালয়গুলো বর্ণিত বদলি কার্যক্রমের আওতাবহির্ভূত থাকবে।

এর আগে সোমবার (১৪ জুলাই) প্রাথমিকের শিক্ষকদের বদলির ক্ষেত্রে নীতিমালায় পরিবর্তন আনার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

শিক্ষকদের বদলির ক্ষেত্রে নীতিমালায় পরিবর্তন আনার নির্দেশনা দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘অনেক সময় এক উপজেলায় নিয়োগ পেয়ে পরে অন্য উপজেলায়, শহরের কাছে কোনো স্কুলে শিক্ষকরা বদলির জন্য চেষ্টা করেন, তারা সুপারিশ-তদবির নিয়ে বিভিন্ন মহলে ঘোরেন। এ ক্ষেত্রে একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা ও প্রক্রিয়া থাকতে হবে। কেবল ওই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই তিনি বদলি হতে পারবেন।’

স্কুলগুলোতে মেয়েদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা, স্কুলের অবকাঠামো নারীবান্ধব কি না এ সকল বিষয়েও জানতে চান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘স্কুলের ভবন নির্মাণের সময় কমিটিতে অন্তত একজন নারী স্থপতি রাখতে হবে যাতে নারীবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণ হয়। পরিকল্পনায়, চিন্তায়, বাস্তবায়নে মেয়েদের বিষয় আলাদা করে গুরুত্ব দিতে হবে, সব ব্যবস্থা রাখতে হবে।’