রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির সব শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী রোববার (২৭ জুলাই) থেকে পুনরায় শিক্ষা কার্যক্রম চালু হতে পারে।
এ দিন শুধু নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শ্রেণি কার্যক্রম চালু হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্যান্য শ্রেণির কার্যক্রম শুরু করা হবে।
বুধবার (২৩ জুলাই) দিবাগত রাতে গণমাধ্যমের কাছে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহ বুলবুল।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান গত সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উত্তরার দিয়াবাড়ীতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে আছড়ে পড়ে বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩২ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া শতাধিক আহত বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে, যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হতাহতদের প্রকৃত সংখ্যা বের করতে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি আহত, নিহত ও নিখোঁজদের নাম-ঠিকানাসহ একটি তালিকা তৈরি করবে।
ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার তাৎক্ষণিকভাবে সঠিক তথ্য নিশ্চিত করা না গেলেও বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে থাকা বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জিয়াউল আলমকে সভাপতি করে গঠিত এই কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন উপাধ্যক্ষ (প্রশাসন) মো. মাসুদ আলম, প্রধান শিক্ষক খাদিজা আক্তার, কো-অর্ডিনেটর লুৎফুন্নেসা লোপা, অভিভাবক প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান মোল্লা (শিক্ষার্থী: যাইমা জাহান, চতুর্থ শ্রেণি) এবং দ্বাদশ শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী, মারুফ বিন জিয়াউর রহমান ও মো. ভাসনিম ভূঁইয়া প্রতিক। কমিটিকে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সরাসরি ঘটনাস্থল পরিদর্শন, সংশ্লিষ্ট পরিবারদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং নিশ্চিত তথ্য যাচাই করে তালিকা প্রস্তুত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কমিটির প্রতিবেদনটি শুধু অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনার জন্য নয়, প্রয়োজনে সরকার, উদ্ধারকারী সংস্থা ও অন্যান্য সহায়তাকারী কর্তৃপক্ষের কাছেও হস্তান্তর করা হবে।
ইতোমধ্যে অধ্যক্ষের স্বাক্ষরে কমিটি গঠনের প্রজ্ঞাপন ই-মেইলের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী কাজও শুরু করেছেন সদস্যরা।
এ ছাড়া, এই কমিটি ছাড়াও দুর্ঘটনার সার্বিক দিক, উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তা, অবকাঠামোগত ক্ষতি এবং নিরাপত্তা ঘাটতির বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণের জন্য আলাদাভাবে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা কাজ করছেন বলে জানা গেছে।
আপনার মতামত লিখুন :