এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ২০ শতাংশ এবং চিকিৎসা ভাতা এক হাজার টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বুধবার (২০ আগস্ট) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে এ প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বাড়িভাড়া ভাতা নির্ধারণ করেছিল নির্দিষ্ট দুই হাজার টাকা এবং চিকিৎসা ভাতা এক হাজার টাকা। কিন্তু শিক্ষক সংগঠনগুলো এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বাড়িভাড়া মূল বেতনের নির্দিষ্ট শতাংশ হারে নির্ধারণের দাবি জানায়। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই নতুন এ সংশোধিত প্রস্তাব তৈরি করা হয়।
বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা প্রতি মাসে বাড়িভাড়া বাবদ পান এক হাজার টাকা এবং চিকিৎসা ভাতা বাবদ পান ৫০০ টাকা। প্রস্তাবিত সংশোধন অনুযায়ী, চিকিৎসা ভাতা দ্বিগুণ হয়ে এক হাজার টাকায় উন্নীত হবে এবং বাড়িভাড়া মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে নির্ধারণ করা হবে, যা পূর্বের নির্দিষ্ট হারের তুলনায় অনেক বেশি সুবিধাজনক।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (কলেজ অনুবিভাগ) মো. মজিবর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ‘প্রস্তাবনা আমরা অর্থ বিভাগে পাঠিয়েছি। এখন অনুমোদন পেলে এটি কার্যকর করা হবে। তবে চূড়ান্ত বাস্তবায়নের জন্য কিছু সময় প্রয়োজন।’
বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস)-এর ২০২৩ সালের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে মোট ২৬ হাজার ৪৪৭টি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজার শিক্ষক এবং ১ লাখ ৭৭ হাজার কর্মচারী।
নতুন প্রস্তাবনায় শিক্ষক মহলে আশাবাদ তৈরি হয়েছে। তারা আশা করছেন, অর্থ মন্ত্রণালয় দ্রুত এ প্রস্তাব অনুমোদন করবে এবং দীর্ঘদিনের বৈষম্য নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে এটি বাস্তবায়িত হবে।