বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সিন্ডিকেট মিটিংয়ে শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হয়নি। ফলে ক্যাম্পাস হল খোলার সিদ্ধান্ত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে পুনরায় আন্দোলনের আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
বুধবার (৩ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক এবং আন্দোলনকারী এহসানুল হক হিমেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে চার ঘণ্টার আলোচনায় হল বন্ধের আদেশ প্রত্যাহারসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল। সিদ্ধান্তগুলো সিন্ডিকেট মিটিংয়ে লিখিত আকারে উপস্থাপন করার জন্য শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষরের প্রয়োজন ছিল।
তবে প্রশাসনের ডাকে শিক্ষার্থীরা না আসায় লিখিত প্রস্তাবনা প্রস্তুত করা সম্ভব হয়নি।
ড. শহীদুল হক বলেন, ‘গতকাল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা শেষে যেসব সিদ্ধান্তে আমরা একমত হয়েছি, সেগুলো লিখিত আকারে সিন্ডিকেটে পেশ করতে হবে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা স্বাক্ষরের জন্য আসেননি। ফলে সিন্ডিকেট মিটিং আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। এতে গতকালের আলোচনায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর কোনো কার্যকরিতা থাকবে না।’
আন্দোলনকারী এহসানুল হক হিমেল বলেন, ‘মঙ্গলবার মিটিংয়ে উপস্থিত সবাই ইতোমধ্যে স্বাক্ষর করেছে। নতুন করে স্বাক্ষর করার প্রয়োজন বুঝতে পারছি না। তাই আমরা প্রশাসনের সঙ্গে পূর্বের চুক্তিতে আর একমত নই। পরবর্তী কর্মসূচি আলোচনা করে সকলকে জানানো হবে।’
মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় গৃহীত মূল ৪টি সিদ্ধান্ত ছিল:
১. সিন্ডিকেট মিটিংয়ের মাধ্যমে হল বন্ধের নোটিশ প্রত্যাহার।
২. আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে কোনো অ্যাকাডেমিক বা প্রশাসনিক হেনস্থার শিকার হবে না, তা প্রশাসনের লিখিত নিশ্চয়তা।
৩. আগামী ৭ দিনের মধ্যে ক্লাস ও পরীক্ষা পুনরায় শুরু করা।
৪. আগামীকাল বিকেল ৫টার মধ্যে লিখিত বিবৃতি প্রকাশ করা।
তবে শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতিতে এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন