ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভিপি (সহ-সভাপতি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের (বাগছাস) সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী আব্দুল কাদের। সম্প্রতি এই প্রার্থীর প্রতি আনুষ্ঠানিক সমর্থন জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে এনসিপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে আব্দুল কাদেরকে একজন ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী’ ছাত্রনেতা হিসেবে তুলে ধরা হয়। সেখানে তার অতীত রাজনৈতিক কার্যক্রম, গ্রেপ্তার, কারাবাস এবং শিক্ষাজীবনে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও রাজপথে সক্রিয় থাকার বিষয়টি বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করা হয়।
ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করা হয়, ‘২০২২ সালের অক্টোবরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের শাহাদাৎবার্ষিকীতে আয়োজিত মিছিলে অংশ নিয়ে হামলার শিকার হন আব্দুল কাদের ও তার সহযোদ্ধারা। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়ও হামলার মুখে পড়েন তিনি। পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার পর তার বিরুদ্ধে দুইটি মামলা দায়ের করা হয় এবং তিনি টানা ৩২ দিন কারাবন্দি ছিলেন।’
এনসিপির ভাষ্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র হয়েও কাদের শুধু নিজের ক্যারিয়ার নয়, বরং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পক্ষেই সবসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছেন। ফেসবুক পোস্টে কাদেরকে ‘ফ্যাসিস্টের চোখে চোখ রেখে’ লড়াই করা ছাত্রনেতা হিসেবে বর্ণনা করা হয়।
পোস্টে আরও দাবি করা হয়, ‘২০২৪ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত আন্দোলনের সময় কাদেরের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। সেসময় তার দেওয়া ‘ঐতিহাসিক নয় দফা’ দাবি ছিল সরকারবিরোধী আন্দোলনের টার্নিং পয়েন্ট, যা পরবর্তীতে আরও বৃহত্তর দাবিতে রূপ নেয়।’
ডাকসু নির্বাচনে আব্দুল কাদেরের প্যানেলের নাম ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’ এবং তার ব্যালট নম্বর ২। এনসিপি মনে করে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উচিত কাদেরের ‘সুদীর্ঘ সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ’কে মূল্যায়ন করা।
জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ‘ছাত্রলীগের ভয়ে যখন অনেকে নিজের পরিচয় লুকিয়ে রাখে, তখন আব্দুল কাদের প্রকাশ্যে ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াই চালিয়ে গেছেন। এমন একজন ছাত্রনেতার জয় শুধু কাদেরের নয়, বরং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনেরও জয় হবে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন