সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


জাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২৫, ০৯:২২ এএম

ছাত্রদলের সবাই নৈতিক চরিত্রের অধিকারী : রাকিব

জাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২৫, ০৯:২২ এএম

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। ছবি- সংগৃহীত

ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। ছবি- সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেছেন, কিছু বিপথগামী ছাড়া ছাত্রদলের সবাই নৈতিক চরিত্রের অধিকারী। আমরা এটা স্বীকার করে রাজনীতি করি। আজ পর্যন্ত কেউ বলতে পারবে না যে আমরা অন্যায়কে প্রশ্রয় দিয়েছি।

রোববার (২৬ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের মাঠে শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা হাসিবুল ইসলামের অকাল মৃত্যু এবং জোবায়েদ হোসেনের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রাকিব বলেন, ‘আমরা সমাজে অবদান রাখা মানুষদের ভুলে যাই। তবে দোয়া মাহফিলের এই সংস্কৃতি ধরে রাখতে হবে। সবাইকে মনে রাখতে হবে আমাদের সত্য ও নীতি-নৈতিকতার পথে থাকতে হবে এবং সর্বক্ষেত্রে অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাতে হবে। জোবায়েদ হত্যার সময় স্থানীয়রা দেখেছে, শিক্ষার্থীরা অন্যায় সহ্য করে না। তবে তাদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্বল্প সময়ের মধ্যে ছাত্রদলের একাধিক নেতাকর্মী হত্যা করা হয়েছে। তারা জীবিত থাকাকালীন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তাদের মৃত্যুর পর সবাই তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, কারণ তারা নৈতিক চরিত্রের দৃষ্টান্ত ছিলেন। আমরা স্বীকার করি, আমাদের সংগঠনে কিছু বিপথগামী থাকতে পারে, তবে বেশিরভাগ নেতাকর্মী নৈতিক ও আদর্শবান।’

সভায় উপস্থিত থেকে প্রশাসনের প্রতি নিহত ও গুম হওয়া নেতাকর্মীদের স্মরণ করার আহ্বান জানান রাকিব। তিনি বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল সর্বদা প্রশংসার দাবিদার। তারা চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বাসস্ট্যান্ড উচ্ছেদ করেছে, যা সাহসিকতার দৃষ্টান্ত।’

ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির বলেন, ‘জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রদলের ১৪২ জন শহীদ হয়েছেন। কিন্তু এর পরও সাম্য ও জোবায়েদের মতো নেতাকর্মীরা ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন। পারভেজ হত্যার পরও প্রশাসনের গড়িমসি লক্ষ্য করা গেছে।’

বিশেষ অতিথি অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন, ‘আমরা যাদের কখনও আঘাত করিনি, তাদের মৃত্যুর সভায় উপস্থিত থাকতে হচ্ছে এটা অত্যন্ত কষ্টের বিষয়।’

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘হাসিব দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করার জন্য কাজ করেছে। তার সেই লক্ষ্য পূরণে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। জোবায়েদের মৃত্যুর সঠিক বিচার নিশ্চিত করতে আমরা ইতিমধ্যে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার উদ্যোগ নিয়েছি।’

অনুষ্ঠানটি শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিনের সঞ্চালনায় ও আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন, গবেষণা পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমরানুল হকসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও জাতীয়তাবাদী যুবদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া নিহত হাসিবুল ইসলাম ও জোবায়েদ হোসেনের পরিবারের সদস্যরাও সভায় অংশ নেন এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।

Link copied!