নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. অহিদুজ্জামানের সময়কালে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এ অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ জন শিক্ষক ও কর্মকর্তার ব্যক্তিগত তথ্য চেয়ে এবং ২ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরাসরি তলব নোটিশ জারি করেছে সংস্থাটি।
নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে ৪ ও ৫ মে তারিখে পাঠানো তিনটি চিঠিতে সংশ্লিষ্ট তথ্য ও সাক্ষ্য চাওয়া হয়।
এর মধ্যে এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, অধ্যাপক ড. অহিদুজ্জামানের সময় শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় (সার্কুলার-ভিত্তিক) বিভাগীয় প্ল্যানিং কমিটি, আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই কমিটি এবং সিলেকশন বোর্ডে অংশগ্রহণকারী ১৩ জন শিক্ষক ও কর্মকর্তার পূর্ণাঙ্গ নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ৭ মে’র (২০২৫) মধ্যে জমা দিতে হবে।
তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিরা হলেন- ড. দিব্যদুতি সরকার (রাষ্ট্রবিজ্ঞান), ড. মুহাম্মদ আব্দুল মমিন সিদ্দিকী (সমুদ্রবিজ্ঞান), ড. রোকনুজ্জামান সিদ্দিকী (সমাজবিজ্ঞান), ড. আনোয়ার হোসেন (বাংলা), মো. সোহানুজ্জামান (বাংলা), ড. আ.শ.ম শরিফুর রহমান (প্রাণিবিদ্যা), আতিকুর রহমান ভূঁইয়া (কৃষি), ড. গাজী মো. মহসিন (কৃষি), ড. মো. নুরুজ্জামান ভূঁইয়া (আইআইটি), সৈয়দ মো. সিয়াম (শিক্ষা), মো. মাসুদ রহমান (বাংলা), ড. সুবোধ কুমার সরকার (বিএমবি) ও ইমরুল কায়েস (ইএসডিএম)।
অন্যদিকে, বাংলা বিভাগের প্রভাষক মো. সোহানুজ্জামান এবং শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ মো. সিয়াম- এই দু’জনকে সরাসরি তলব করে সাক্ষ্য দিতে বলা হয়েছে। গত ৭ মে সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় পরিচয়পত্রসহ দুদক কার্যালয়ে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বলেন, ‘আমরা দুদকের চিঠির জবাব দিয়েছি। এটি মূলত সাবেক উপাচার্যের সময়ের কিছু অভিযোগ ঘিরে পাঠানো হয়েছে। তলব নোটিশপ্রাপ্ত দুই শিক্ষককেও আমরা জানিয়েছি।’