ঢাকা রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫

স্ত্রী-সন্তানকে দিয়ে খাতা দেখালেই শিক্ষকদের ‘৫ বছরের জেল’

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০২৫, ০৯:২১ পিএম
পাবলিক পরীক্ষার খাতা। ছবি- সংগৃহীত

বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার খাতা অনেক সময় স্কুল বা কলেজের শিক্ষার্থীদের দিয়ে মূল্যায়নের অভিযোগ ওঠে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। অনেকে আবার পরিবারের সদস্য; যেমন- স্ত্রী, সন্তান ও ভাই-বোনকে দিয়ে খাতা দেখান। তারাই শিক্ষার্থীদের নম্বর দেন। তবে এবার থেকে এমন অভিযোগ প্রমাণিত হলেই ৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান করছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড (মাউশি)।

এ বিষয়ে একজন কর্মকর্তা জানান, এর আগেও অনেকবার বিজ্ঞপ্তি এবং নির্দেশনা দিয়েও এমন কাজ থেকে বিরত রাখা যায়নি পরীক্ষকদের। তারা এখনও শিক্ষার্থী বা পরিবারের অন্য কোনো সদস্যকে দিয়ে খাতা দেখাচ্ছেন। এবার এ থেকে অপরাধ প্রমাণিত হলে ৫ বছরের জেল বা অর্থদণ্ড দেয়া হতে পারে।

এদিকে শনিবার (১৯ জুলাই) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এক চিঠিতে জানায়, শিক্ষা বোর্ডের পাবলিক পরীক্ষার উত্তরপত্র একটি গোপনীয় দলিল। প্রধান পরীক্ষক বা পরীক্ষকদের কাছে পবিত্র আমানত। পরীক্ষার উত্তরপত্র প্রধান পরীক্ষক বা পরীক্ষক ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি, শিক্ষার্থী বা পরিবারের অন্য কোনো সদস্যকে দিয়ে বৃত্ত ভরাট বা পূরণ করানো বা মূল্যায়ন না করার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে।

এতে আরও বলা হয়, এ ধরনের কাজ পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত ১৯৮০ সালের ৪২ নম্বর আইনের ১০ ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ অপরাধ প্রমাণিত হলে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড কিংবা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।

তবে শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্যকে পরীক্ষার খাতা দেখানো গুরুতর অপরাধ। এই অপরাধে তদন্ত কমিটি গঠন করে উপযুক্ত শাস্তির বিধান করতে হবে। অভিযোগ প্রমাণ হলেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করাসহ ১০ বছরের জেলের আওতায় আনতে হবে।