ঢাকা রবিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৫

জাকসুর তফসিল ঘোষণা, ভোট ১১ সেপ্টেম্বর

জাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০২৫, ০৪:৫৮ পিএম
জাকসু তফসিল ঘোষণা করেন অধ্যাপক ড. এ কে এম রাশিদুল আলম। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী আগামী ১১ সেপ্টেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার (১০ আগস্ট) দুপুর প্রায় সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট কক্ষে জাকসু নির্বাচনের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. এ কে এম রাশিদুল আলম এ তফসিল ঘোষণা করেন।

জাকসুর গঠনতন্ত্রের ৮(খ) ধারা অনুযায়ী এ নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১০ আগস্ট ২০২৫ খসড়া ভোটার তালিকা ও আচরণবিধি প্রকাশ করা হবে। পরে ১৪ আগস্ট বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভোটার তালিকা সম্পর্কে আপত্তি ও মতামত গ্রহণ করা হবে। আগামী ১৭ আগস্ট চূড়ান্ত হালনাগাদ ভোটার তালিকা ও চূড়ান্ত আচরণবিধি প্রকাশ করা হবে। 

নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক প্রার্থীগণ আগামী ১৮ ও ১৯ আগস্ট সকাল ০৯ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র গ্রহণ ও জমা দিতে পারবেন। পরে মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই হবে ২১ আগস্ট থেকে ২৪ আগস্ট ও খসড়া প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৫ আগস্ট।

মনোনয়নপত্রের বৈধতার বিষয়ে এবং বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন গ্রহণ করা হবে আগামী ২৬ আগস্ট সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত। পরে আপিলের শুনানি গ্রহণ করা হবে ২৭ আগস্ট সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত এবং আপিলের রায় ঘোষণা করা হবে ২৭ আগস্ট বুধবার বিকাল ৪ টায়। 

এদিকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ আগামী ২৮ আগস্ট সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত। সবকিছু শেষে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী ২৯ আগস্ট বিকাল ৪ টায়।

তফসিলে আরও বলা হয়, আগামী ২৯ আগস্ট বিকাল ৪ টা থেকে ০৯ সেপ্টেম্বর রাত ১২ টা পর্যন্ত চলবে নির্বাচনী প্রচারণা। 

সবকিছু শেষে তফসিল অনুযায়ী আগামী ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত চলবে জাকসু নির্বাচনের ভোট গ্রহণ।

ভোট গ্রহণ ও গণনা শেষে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করা হবে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭ টা থেকে বিরতিহীনভাবে। 

জাকসু নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. এ কে এম রাশিদুল আলম (জাবি প্রক্টর) বলেন, ‘একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। নির্বাচনী পরিবেশ-পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা থাকবেন এবং সার্বিকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহযোগিতা করবেন।’