ঢাকা সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

চবি-বাকৃবিতে হামলা, মাথায় লাল কাপড় বেঁধে চুয়েটে বিক্ষোভ

চুয়েট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৫, ১২:৩৭ পিএম
রাত ১১টার দিকে চুয়েটের শতাধিক শিক্ষার্থী স্বাধীনতা চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে প্রকৌশলীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক জিডি ও প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলন দমন চেষ্টার প্রতিবাদে ‘মিট দ্য জাস্টিস’ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

রোববার (৩১ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে শতাধিক শিক্ষার্থী চুয়েটের স্বাধীনতা চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। মিছিলে তারা প্রকৌশলীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা জিডি, হুমকি ও দমননীতির প্রতিবাদে স্লোগান দেন।

এ ছাড়া চবি ও বাকৃবি শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলারও তীব্র নিন্দা জানান। এ সময় মিছিল শেষে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে চুয়েটের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আতফান বিন নূর বলেন, আমরা দেখেছি ঢাকায় প্রকৌশলীদের যৌক্তিক আন্দোলনে আমাদের ভাইদের ওপর হামলা হয়েছে। চবি ও বাকৃবি শিক্ষার্থীদের ওপরও ন্যাক্কারজনক হামলা চালানো হয়েছে। অথচ এসব ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিংবা প্রশাসনের কার্যকর ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। এটি ইন্টারিম গভর্নমেন্টের ব্যর্থতা নির্দেশ করে। আমরা চাই দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক।

যন্ত্রকৌশল বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহি আল ওয়াহিদ বলেন, আমাদের ভাই-বোনদের ওপর যারা এমন বর্বর হামলা চালিয়েছে তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে শাস্তি দিতে হবে। আমরা চাই, দেশে যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে তা যেন  শীঘ্রই সমাধান হয় ও দেশের স্থিতিশীলতা ফিরে আসে।

জানা গেছে, গত ২৫ আগস্ট প্রকৌশলী রোকনুজ্জামান রোকন হত্যার হুমকি পান। এ ঘটনার প্রতিবাদ ও রোকনের প্রতি সমর্থনের কারণে ৩০ আগস্ট প্রকৌশলী মুবিউল্লাহ, প্রকৌশলী মুবিউর রহমান, প্রকৌশলী রায়হান ও প্রকৌশলী আসিকের বিরুদ্ধে জিডি দায়ের করে ডিপ্লোমা টেকনিশিয়ান সমর্থিত একটি মহল।

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, এসব জিডি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও হয়রানিমূলক এবং প্রকৌশলী অধিকার আন্দোলনকে দমন করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। নারী শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় নানাভাবে হুমকি ও হয়রানির শিকার হয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠে।

এ ছাড়া গত ৩০ আগস্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকায় স্থানীয় লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বরোচিত হামলা করে। এতে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এ ছাড়া যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনরত বাকৃবি শিক্ষার্থীদের ওপরও বহিরাগতদের হামলার ঘটনা ঘটে।