বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) অচলাবস্থা কাটিয়ে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে পরিবেশ। ২৪ ঘন্টা পর বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খোলা হয়েছে কোষাধ্যক্ষ কার্যালয়ের তালা। তবে সিন্ডিকেট মিটিংয়ে দাবি আদায়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আশায় আপাতত বন্ধ রয়েছে আন্দোলন।
মঙ্গলবার রাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পাঁচ ঘণ্টার আলোচনায় হল ছাড়ার নির্দেশনা প্রত্যাহার, আগামী সাত দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করেন। আজ বুধবার যে কোন সময় সিন্ডিকেট মিটিং হওয়ার কথা রয়েছে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি এএইচ এম হিমেল বলেন, আজ বুধবার সিন্ডিকেট সভা ডেকে হল ছাড়ার নোটিশ প্রত্যাহার এবং আগামী সাত দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা রয়েছে। যার কারণে আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। তবে একক কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবির ব্যাপারে যদি সুরাহা না হয় তাহলে আন্দোলন আবারও শুরু হবে। আমরা এখন সিন্ডিকেট মিটিংয়ের দিকে তাকিয়ে আছি। আমরা চাই সিন্ডিকেট মিটিংয়ে একক ডিগ্রি, বহিরাগতের শাস্তি নিশ্চিত, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা যেন হয়রানির শিকার না হয় তার নিশ্চিয়তা।
আন্দোলন স্থগিত থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও দুইদিন পর সচল হয়েছে প্রশাসনিক কার্যক্রম। বুধবার সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রশাসনিক কাজ শুরু হয়েছে, সকাল সোয়া ১০টার দিকে প্রশাসনিক কার্যালয়ে এসেছেন উপাচার্য। তবে বুধবার দুপুর পর্যন্ত তালাবদ্ধ ছিল কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়। সাড়ে ১২টার দিকে এক শিক্ষার্থী তালা খোলে দিলে স্বাভাবিক হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক কার্যক্রম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুল আলীম বলেন, সিন্ডিকেট মিটিংয়ের আগে আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আরেকটু বসে কথা বলতে চাচ্ছি। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। তাদের বিষয়গুলো আগে স্পষ্ট হলে মিটিংয়ে কথা বলতে সুবিধা হবে। তবে সিন্ডিকেট মিটিং আজকেই হবে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন