ছাত্রদল নেতা কর্তৃক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের ‘যৌনকর্মী’ বলে কটূক্তি, সারা দেশে নারী হেনস্তা এবং ক্যাম্পাসগুলোতে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা। শাখা ছাত্রশিবির সেক্রেটারি ইউসুফ আলীসহ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় তারা ‘নারারে তাকবির, আল্লাহু আকবর’, ‘ইসলামী ছাত্রশিবির, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’; ‘ধর্ষক আর চাঁদাবাজ, মিলেমিশে একাকার’, ‘ধর্ষক আর স্বৈরাচার, মিলেমিশে একাকার’; ‘ধর্ষকদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’; ‘চাঁদাবাজের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’; ‘ছাত্রদলের ধর্ষক, রুখে দাও ছাত্রসমাজ’, ‘দায় চাপানোর রাজনীতি, বন্ধ করো, করতে হবে’, ‘নারী হেনস্তার রাজনীতি, বন্ধ করো করতে হবে’, ‘জবাই স্লোগান দিত যারা, তারা এখন বাংলা ছাড়া’ —ইত্যাদি স্লোগান দেন।
শিবিরের সেক্রেটারি ইউসুফ আলী বলেন, ‘৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে একটা দল এই দেশকে তাদের পৈতৃক সম্পত্তি মনে করে বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। রাবি ছাত্রদলের নেতা আনিসুর রহমান ৯১ শিক্ষার্থীকে যৌনকর্মী বলে আখ্যায়িত করেছে, আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ছাত্রদলের কেন্দ্র থেকে রুট লেভেল পর্যন্ত প্রত্যেকে শিবিরের পেছনে উঠেপড়ে লেগেছে। আপনারা আদর্শিকভাবে আমাদের সঙ্গে লড়াই করতে আসুন। বর্তমান সময় আদর্শিক লড়াইয়ের সময়, পেশিশক্তির সময় নয়। ছাত্রদল আমাদের সঙ্গে আদর্শিক লড়াইতে হেরে নব্বইয়ের রাজনীতিতে ফিরে যেতে চাচ্ছে। তারা পেশিশক্তি ব্যবহার করে আমাদের দমিয়ে দিতে চাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিয়ে আর কোনো ষড়যন্ত্র করবেন না। ৫ আগস্টের পরে আমরা সহাবস্থানের রাজনীতি চেয়েছিলাম, যেন সবাই ভাই ভাই হয়ে অবস্থান করতে পারে, সবাই আদর্শিকভাবে প্রতিযোগিতা করবে৷ কিন্তু এতে ব্যর্থ হয়ে তারা নব্বইয়ের রাজনীতিতে ফিরে যাওয়ার চিন্তা করছে। আমরা এমন একটি ক্যাম্পাস প্রত্যাশা করি, যেখানে আমাদের বোনেরা নিরাপদ থাকবে। কিন্তু ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার জন্য তারা বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনপি নেতার নির্দেশে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। আমরা এগুলো কখনোই প্রত্যাশা করিনি। এসব বন্ধ না করলে ছাত্রলীগের যে অবস্থা হয়েছে, আপনাদের সেই অবস্থা করতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বাধ্য হবে৷’