ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

রাবিতে বামদের ভেতরেও শিবির ঢুকে পড়েছে: আমান

রাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৫, ০৭:৩৮ পিএম
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান ও রাবি নেতৃবৃন্দ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে বামদের ভেতরেও শিবির ঢুকে পড়েছে। সে অন্য সংগঠনে পদ নিলেও আসলে সে শিবিরের নেতা’— এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘এ বিষয়ে জড়িত ছাত্রদল নেতার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও আমরা কোনো সদুত্তর পাইনি। ফলে আমরা মনে করছি, এ ঘটনায় সে সরাসরি জড়িত। তাই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল তার প্রাথমিক পদ বাতিলসহ আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। দ্রুত তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনকে স্মারকলিপিও প্রদান করেছি। আমরা চাই না, আমাদের বোনরা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হোক কিংবা তা নিয়ে কেউ অপরাজনীতি করুক।’

ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনায় ছাত্রদল কঠোর ব্যবস্থা নেবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যদি কোনো নারী শিক্ষার্থী কারও দ্বারা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়, তার পরিণতি একই হবে। এমনকি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি হলেও তার বিরুদ্ধেও একই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অপরাধী যে-ই হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং নারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছাত্রদল সর্বদা সচেষ্ট থাকবে। শেষ ইভটিজার পর্যন্ত আমরা এ সংগ্রাম চালিয়ে যাব।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় একটি বিশেষ ক্যাম্পাস, যেখানে একটি নির্দিষ্ট সংগঠন দুই-তিন স্তরে তাদের কর্মকাণ্ড চালায়। এমনকি মেয়েদের হলের প্রভোস্টরাও শিক্ষার্থীদের ইসলামী ছাত্রী সংস্থায় যুক্ত হতে চাপ প্রয়োগ করেন।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘বট’ আইডি প্রসঙ্গে আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘বাংলাদেশে যত জনসংখ্যা আছে, তার চেয়েও শিবিরের বট আইডি বেশি।’

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জুলাই ৩৬ হল’-এর প্রভোস্ট কর্তৃক ৯১ জন শিক্ষার্থীকে তলব করার প্রতিবাদে ছাত্রদলের সহসভাপতি ও শিক্ষার্থী জান্নাতুল নাঈমা তুহিনা তার ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্ট করেন। এ সময় শাহ মখদুম হলের সহসভাপতি এ আর মিলন খান কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। তারই প্রতিবাদে অভিযুক্ত ব্যক্তির সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

আরও জানা যায়, গত সোমবার রাত ১১টার পরে হলে ফেরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলাই ৩৬ হলের ৯১ ছাত্রীকে তলব করে নোটিশ দেয় হল কর্তৃপক্ষ। নোটিশের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরদিন মঙ্গলবার অনিবার্য কারণ দেখিয়ে হল প্রশাসন নোটিশটি প্রত্যাহার করে নেয়। এ নিয়ে ফেসবুকে আলোচনার ঘরে ছাত্রদল নেতা আনিসুর রহমানের আইডি থেকে ছাত্রীদের উদ্দেশে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার শাখা ছাত্রদলের এক বিজ্ঞপ্তিতে তাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।