বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক, প্রভাষকসহ শিক্ষকদের নিয়োগের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা পুনর্নির্ধারণ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) বিভাগ। গতকাল মঙ্গলবার জারি করা এক পরিপত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পরিপত্র অনুযায়ী, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও প্রভাষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা সমান নির্ধারণ করা হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১-এর ‘পরিশিষ্ট-ঘ’-এর কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা (নির্দিষ্ট পদের বিপরীতে) সংশোধন করে নি¤œরূপ কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করা হলো। পরিপত্র অনুযায়ী, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ নিয়োগে শিক্ষাগত যোগ্যতা বর্তমানে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি/সমমান অথবা ৪ বছর মেয়াদি স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি/সমমান। এ ক্ষেত্রে সমগ্র শিক্ষাজীবনে একটির বেশি ৩য় বিভাগ/শ্রেণি অথবা সমমান জিপিএ/সিজিপিএ গ্রহণযোগ্য হবে না।
অপরদিকে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক/সমমান ও বিএড ডিগ্রি/সমমান। এ ক্ষেত্রেও শিক্ষাজীবনে একটির বেশি ৩য় বিভাগ/শ্রেণি অথবা সমমান জিপিএ/সিজিপিএ গ্রহণযোগ্য হবে না।
নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য প্রার্থীকে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক/সমমান ও বিএড ডিগ্রি/সমমান থাকতে হবে। এ ছাড়া সমগ্র শিক্ষাজীবনে একটির বেশি ৩য় বিভাগ/শ্রেণি/জিপিএ/সিজিপিএ সমমান গ্রহণযোগ্য হবে না।
এ ছাড়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রদর্শক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়সহ ২য় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রি/সমমান থাকতে হবে। একই সাথে বর্ণিত সর্বশেষ ডিগ্রি ব্যতীত সমগ্র শিক্ষাজীবনে একটির বেশি ৩য় বিভাগ/শ্রেণি/জিপিএ/সিজিপিএ সমমান গ্রহণযোগ্য হবে না।
অপরদিকে সিনিয়র শিক্ষককে পদোন্নতিযোগ্য পদ হিসেবে রাখা হয়েছে। পরিপত্র অনুযায়ী, এমপিওভুক্ত সহকারী শিক্ষকরা নিয়োগকালীন কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে ১০ম গ্রেডে সন্তোষজনক ১০ বছর চাকরি পূর্তিতে ‘সিনিয়র শিক্ষক’ হিসেবে পদোন্নতি পাবেন। সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান) তার উচ্চতর গ্রেডের আর্থিক সুবিধা পাবেন। তবে সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি পাবেন না।

