সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৫৫ রানে পাকিস্তানকে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। রিজা হেন্ড্রিকসের ঝড়ো অর্ধশতক এবং করবিন বশ ও জর্জ লিন্ডের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে মঙ্গলবার রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানকে ১৯৫ রানের টার্গেট দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৮.১ ওভারে সব উইকেট মাত্র ১৩৯ রান করে পাকিস্তান।
ইনিংসের শুরুতে বেশ সতর্ক ছিল পাকিস্তান। শাহেবজাদা ফারহান ও সাইম আয়ুব জুটি প্রথম উইকেটে যোগ করেন ৩১ রান। কিন্তু ফারহান ১৯ বলে ২৪ রান করে লিজাড উইলিয়ামসের বলে বোল্ড হলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। এরপরই বড় ধাক্কা খায় স্বাগতিকরা। দলে ফেরা বাবর আজম মাত্র দুই বল খেলেই করবিন বশের শিকার হন ‘ডাক’ মেরে। পরের ওভারে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগাও (২) বশের দ্বিতীয় শিকার হলে ৭.২ ওভারে স্কোর দাঁড়ায় ৪৩/৩।
টানা ধাক্কা সামলে সাইম আয়ুব পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করেন। কিন্তু ১১তম ওভারে জর্জ লিন্ডের বলে আউট হলে তাকেও ফিরতে হয়েছে। ২৮ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তাতে ছিল চারটি ছক্কা ও একটি চার। এরপর পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ পুরোপুরি ভেঙে পড়ে। শেষ ছয় উইকেট পড়ে মাত্র ৫৪ রানে। মোহাম্মদ নওয়াজ কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও সেটি যথেষ্ট ছিল না। নওয়াজ ২০ বলে ৩৬ রান করেন। তার ইনিংসে ছিল চারটি চার ও দুটি ছক্কার মার।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে বল হাতে সবচেয়ে সফল ছিলেন করবিন বশ। ১৪ রানে ৪ উইকেট নেন তিনি। লিন্ডে শিকার করেন ৩টি, উইলিয়ামস নেন ২টি।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৯৪ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা।কুইন্টন ডি কক ও রিজা হেন্ড্রিকসের উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র চার ওভারে আসে ৪৪ রান। ১৩ বলে ২৩ রান করা ডি কককে ফিরিয়ে দেন সাইম আয়ুব। ডি ককের ইনিংসে ছিল ৪টি চার। এরপর হেন্ড্রিকসের সঙ্গে জুটি গড়েন অভিষিক্ত টনি ডি জর্জি। দুজনের ৪৯ রানের পার্টনারশিপ শেষ হয় মোহাম্মদ নওয়াজের বলে ডি জর্জি সাজঘরে ফিরলে। ১৬ বলে ৩৩ রান করেন তিনি। তাতে ছিল পাঁচটি চার ও একটি ছক্কা। তারপর দ্রুতই উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। ডেওয়াল্ড ব্রেভিস (৯) ও ম্যাথিউ ব্রিটজকেকে (১) ফেরান নওয়াজ ও আয়ুব।
হেন্ড্রিকস এরপর অধিনায়ক ডোনোভান ফেরেইরাকে নিয়ে ২৭ রানের জুটি গড়ে ১৮তম ওভারে আবরার আহমেদের বলে আউট হন। হেন্ড্রিকসের ৪০ বলে ৬০ রানের ইনিংসে ছিল পাঁচটি চার ও একটি ছক্কা। লোয়ার অর্ডারে জর্জ লিন্ডে ২২ বলে করেন ৩৬ রান। তাতে ছিল চারটি চার ও একটি ছক্কা। ব্যাট-বলে ভূমিকা রাখায় ম্যাচসেরাও তিনি।
পাকিস্তানের পক্ষে নওয়াজ ৪ ওভারে ২৬ রানে নেন ৩ উইকেট। সাইম আয়ুব পান ২টি। আবরার, নাসিম ও শাহীন প্রত্যেকে নেন ১টি করে উইকেট।

