অস্ত্র আইনের মামলায় ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া এ রায় দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী শাহাদাত আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সম্রাটকে পলাতক দেখিয়ে এ রায় ঘোষণা করা হয়েছে।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লা থেকে আটক হওয়ার পর বিভিন্ন অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা হয়, যার প্রথম রায়ে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করলেন আদালত।
গত ১৬ জানুয়ারি এ মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। ওই দিন তার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়। বিচার চলাকালে মোট ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।পরে তাকে নিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় কার্যালয়ের ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর চামড়া পাওয়া যায়। এ চামড়া রাখার দায়ে তাকে ছয় মাসের কারাদ- দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই দিনই রাত পৌনে ৯টার দিকে সম্রাটকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর ওই বছরের ৭ অক্টোবর বিকেলে র্যাব-১-এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় দুটি মামলা করেন। দুই মামলার মধ্যে অস্ত্র মামলায় সম্রাটকে একমাত্র আসামি করা হয়। মাদক মামলায় সম্রাট ও আরমানকে আসামি করা হয়।
তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর আদালতে অস্ত্র মামলায় অভিযোগপত্র জমা দেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১-এর উপপরিদর্শক (এসআই) শেখর চন্দ্র মল্লিক। ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর মাদক মামলায় সম্রাট ও আরমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১-এর এসআই আ. হালিম।
গত ৩০ জানুয়ারি মাদক মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। ওই দিন তাদের জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আর ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের মামলায় গত রোববার তাদের দুজনের জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। গত ১৭ জুলাই দুদকের মামলায় সম্রাটের বিচার শুরু হয়। এ মামলায়ও তার জামিন বাতিল হয়।

