রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আ-আল মামুনের একটি ছাত্রী হল সংসদের নির্বাচিতদের নিয়ে করা মন্তব্যের জেরে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
সোমবার রাতে পোস্টটিকে পর্দার অবমাননা দাবি করে বিক্ষোভ করেন এবং তার শাস্তির দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। পরে প্রতিবাদের মুখে আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে অধ্যাপক তার মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এদিকে মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে তার শাস্তিসহ ৫ দফা দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ও গণযোগাযোগ এবং সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু)।
এর আগে গতকাল রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যক্তিগত টাইমলাইনে করা একটি পোস্টে একটি ছাত্রী হল সংসদের শপথ অনুষ্ঠানের ছবি পোস্ট করে অধ্যাপক আ-আল লিখেন, ‘এই ব্যক্তিগত স্বাধীনতা আমি এন্ডর্স করছি। কাল আমি এ রকম ব্যক্তিগত স্বাধীনতা পরে ও হাতে নিয়ে ক্লাসে যাব। পরব টু-কোয়াটার, আর হাতে থাকবে মদের বোতল। মদ তো ড্রাগ না! মদ পান করার লাইসেন্সও আমার আছে! শিবির আইসেন, সাংবাদিকরাও আইসেন!’
পোস্টটি করার কয়েক মিনিটের মধ্যেই মুছে ফেলা হয় এবং ওই শিক্ষক দাবি করেন, তিনি নিজে পরবর্তীতে এই বিষয়টি চিন্তা করতে এটি করেছিলেন। কাউকে পোশাক নিয়ে কটাক্ষ করার উদ্দেশ্য তার ছিল না।
তবে মুহূর্তেই এই পোস্টের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়ে এবং শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক প্রতিবাদে গতকাল রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে ছাত্রীদের আবাসিক হলগুলো প্রদক্ষিণ করে রবীন্দ্র ভবনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সামনে সমাবেশে মিলিত হন তারা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘মামুন তুই কুলি কর, মদের গন্ধ দূর কর’,‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, মামুন ইজ নো মোর’, ‘এই মুহূর্তে মামুনকে বহিষ্কার করতে হবে’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

