জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতমূলক আচরণ ও বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অদম্য ২৪ স্মৃতিস্তম্ভের সামনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ মনোনীত ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী তৌহিদ সিয়াম বলেন, নির্বাচন কমিশনের কিছু অদূরদর্শিতামূলক কাজ ও পক্ষপাতমূলক আচরণের প্রেক্ষিতে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের সঙ্গে ভোটারদের যোগাযোগের জন্য যে ব্যবস্থা তৈরি করবে, তা করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো নির্বাচন সম্পর্কিত প্রোগ্রামের জন্য বারবার আবেদন করলেও অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আন্তঃবিভাগ খেলা পরিচালনা এবং বাইরের সাংবাদিকদের টিভি প্রোগ্রাম পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় ৫৭ জন ভোটার দুই হলের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। শিক্ষকরা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে দলীয় প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘গত মাসের ২৮ তারিখ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বাতিলের জন্য স্বশরীরে উপস্থিত হওয়ার নিয়ম থাকলেও একটি নির্দিষ্ট দলের ফর্ম না থাকলেও একরাতের মধ্যে বাতিল করা হয়েছে। ছাত্রদলের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণের কারণে নির্বাচনে পরিবেশ এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্ট হচ্ছে।’
গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ জাবি শাখার আহ্বায়ক ও ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’ মনোনীত ভিপি পদপ্রার্থী আরিফুজ্জামান উজ্জল বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করার জন্য কোনো টিম নির্বাচন কমিশন রাখেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক একটি নির্দিষ্ট দলের প্রার্থীদের সমর্থন করে প্রচারণা চালাচ্ছেন। প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণের কারণে নির্বাচন নিরপেক্ষ হচ্ছে না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বান জানাচ্ছি।’
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রচার-প্রচারণা চলবে এবং ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১১ সেপ্টেম্বর।