রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ এবং সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে প্যানেল ঘোষণা করেছে বামপন্থি ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলো। প্যানেলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ’।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্যানেল ঘোষণা করেন শাখা ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ) সভাপতি রাকিব হোসেন।
প্যানেলে সহসভাপতি (ভিপি) পদে রয়েছন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ছাত্র ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ কাউছার আহম্মেদ এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ছাত্র গণমঞ্চের আহ্বায়ক নাসিম সরকার।
এ ছাড়া এ প্যানেলে রয়েছে বিপ্লবী ছাত্রযুব আন্দোলন, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীরাসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
প্যানেলে সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে তারেক আশরাফ, মহিলাবিষয়ক সহসম্পাদক শ্রেয়সী রায়, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হাসান শাহরিয়ার খন্দকার আলিফ, তথ্য ও গবেষণা সহসম্পাদক মো. সজীব আলী, সহ-মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক ফাহিম মুনতাসির রাফিন রয়েছেন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মুনতাসির তাসিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহসম্পাদক রিসার্চ চাকমা, পরিবেশ ও সমাজসেবা সম্পাদক আজমাইন আতিক, সহ-পরিবেশ ও সমাজসেবা সম্পাদক শামীন ত্রিপুরা।
এ ছাড়াও সদস্য পদে রয়েছেন আসাদ সাদিক রাফি, আহমেদ ইমতিয়াজ সৈকত, মো. সাজ্জাদ শেখ ও মো. জুনায়েদ।
সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি পদে নির্বাচন করবেন মো. হাসান শাহরিয়ার খন্দকার আলিফ, আসাদ সাদিক রাফি, মো. কাউছার আহম্মেদ, ফুয়াদ রাতুল ও ফাহিম মুনতাসির রাফিন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রাকিব হোসেন বলেন, ‘ছাত্র সংসদ নির্বাচনে গালভরা প্রতিশ্রুতি দিতে আমরা আগ্রহী নই। তার চেয়ে আমরা শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। কারণ ফ্যাসিস্ট ক্ষমতাধরদের অধীনে জিম্মি জীবন আমরা ভুলে যেতে পারি না।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক ও ভিপি প্রার্থী ফুয়াদ রাতুল বলেন, ‘আমরা রাকসুর গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন আনতে চাই। কোনো শিক্ষকদের সংগঠনে শিক্ষার্থীদের কোনো স্থানই থাকে না। রাকসু সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংগঠন। কিন্তু রাকসুর সভাপতি পদে ভিসিকে সর্বোচ্চ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আমরা নির্বাচিত হতে পারলে ভিসির ক্ষমতা কমিয়ে আনা যায় সেটা চেষ্টা করব।’