ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন জুলাই আন্দোলনের পরিচিত মুখ সানজিদা আহমেদ তন্বি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা তন্বি ১১ হাজার ৭৭৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে ডাকসুর ফল ঘোষণা করা হয়।
ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী তন্বি গত বছর ১৫ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন। সে সময় তিনি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দেন। তন্বির সম্মানে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতার আসনে কোনো প্রার্থী দেয়নি ছাত্রদল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে গড়ে ওঠা গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদসহ মোট ছয়টি প্যানেল।
অন্যদিকে ভিপি পদে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম) সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ৪২ ভোট পান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী মো. আবিদুল ইসলাম খান পান ৫ হাজার ৭০৮ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী উমামা ফাতেমা পান ৩ হাজার ৩৮৯ ভোট এবং শামীম হোসেন পান ৩ হাজার ৬৮১ ভোট।
জিএস পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী এস এম ফরহাদ ১০ হাজার ৮৯৪ ভোটে বিজয়ী হন। দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী তানভীর বারী হামীম (৫ হাজার ২৮৩ ভোট)। প্রতিরোধ পর্ষদের প্রার্থী মেঘমল্লার বসু পান ৪ হাজার ৯৪৯ ভোট।
এজিএস পদে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী মহিউদ্দীন খান পান ৯ হাজার ৫০১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ পান ৪ হাজার ২৫৪ ভোট।
এবারের ডাকসু নির্বাচনে ২৮টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪৭১ জন প্রার্থী। পাশাপাশি ১৮টি হল সংসদে ২৩৪টি পদের বিপরীতে লড়েছেন ১ হাজার ৩৫ জন প্রার্থী। ডাকসুতে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯৫৯ এবং ছাত্র ভোটার ২০ হাজার ৯১৫ জন।