দীর্ঘ ৩৩ বছর পর ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর)। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।
গত ২৯ আগস্ট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টানা ১২ দিন প্রার্থীরা প্রচার চালান। নির্বাচনি আচরণবিধি অনুযায়ী মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টা পর্যন্ত প্রচার চালানোর অনুমতি ছিল। প্রচারের সময় প্রার্থীরা একাডেমিক এলাকা, টিএসসি, গ্রন্থাগারের সামনে, মুরাদ চত্বর, টারজান পয়েন্টসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। আবাসিক হলগুলোতেও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন প্রার্থীরা।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় অর্ধেক ভোটার নারী শিক্ষার্থী, যাদের আকৃষ্ট করতে বেশির ভাগ প্যানেল নারী শিক্ষার্থীদের ক্ষমতায়ন ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ভোটগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ১২০০ পুলিশ মোতায়েন করবে। এ ছাড়া আশপাশের এলাকায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সেনাবাহিনীকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম।
নির্বাচনে অংশ নেওয়া সব প্রার্থীর জন্য ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ৯ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মেডিকেল সেন্টারে এই পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। তবে প্রচারের শেষ দিনে এ আয়োজন নিয়ে সমালোচনা তুলেছেন অনেক প্রার্থী। কেউ কেউ বলেন, এতে তাদের প্রচার ব্যাহত হয়েছে।
অনন্যা ফারিয়া, ছাত্রদল সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী, সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
অমর্ত্য রায়, সম্প্রীতির ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী, প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করলেও চেম্বার জজ আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না।