জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ফল গণনায় প্রায় শেষ ধাপে পৌঁছেছে নির্বাচন কমিশন। ২১টি আবাসিক হলের মধ্যে ১৯টি হলের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। বাকি রয়েছে কেবল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক লুৎফুল এলাহী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে চলছে এই ভোট গণনা কার্যক্রম। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অধ্যাপক লুৎফুল এলাহী জানান, ‘বর্তমানে রবীন্দ্রনাথ হল ও নজরুল হলের ভোট গণনা চলছে।’
এর আগে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে জাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে ভোট গণনা শেষ করে ফল ঘোষণা করা যাবে বলে আশা করছি।’
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত হয়েছে জাকসু নির্বাচন। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ভোট গণনা শুরু হয়েছিল সেই দিন রাত ১০টা ১৫ মিনিটে। কিন্তু গণনা দীর্ঘায়িত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ১১ হাজার ৭৪৩ জন। ভোটাররা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি আবাসিক হলে অবস্থানরত ছিলেন। ছাত্রদের হলে সবচেয়ে বেশি ভোটার ছিলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে ৯৯২ জন। ছাত্রীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোটার ছিল তারামন বিবি হলে ৯৮৩ জন। নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, এবার ভোট পড়েছে প্রায় ৬৭ থেকে ৬৮ শতাংশ।
জাকসু কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ছিলেন ৯ জন এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ছিলেন ৮ জন প্রার্থী। তবে ছাত্রীদের ১০টি হলে ১৫০টি পদের মধ্যে ৫৯টি পদে কোনো প্রার্থীই ছিলেন না। এ ছাড়া ৬৭টি পদে একক প্রার্থী থাকায় সেখানে ভোটের প্রয়োজন হয়নি। ফলে মাত্র ২৪টি পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি দুটি হলে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মতে, আজকের মধ্যেই সব ফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে। তবে শিক্ষার্থীরা দ্রুত ফল ঘোষণার দাবিতে সোচ্চার হচ্ছেন, যাতে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটে এবং নির্বাচনের চূড়ান্ত চিত্র সামনে আসে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন